১২ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রবিউস-সানি, ১৪৪১ হিজরী
পাথেয় রিপোর্ট : ঢাকা সিরাজগঞ্জ কদ্দুর। এগার ঘণ্টায়ও পথ ফুরায় না। যানজটে অতখানি বিপজ্জনক অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে ঈদযাত্রার ঘরফেরত মানুষদের। নাড়ীর টানে এই মানুষদের দুর্ভোগের সীমা নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের পাশাপাশি পশুবাহী ট্রাকের চলাচল কয়েকগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঘরমুখো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও সারারাত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় যানজটে পশুবাহী ট্রাক আটকা পড়ে।
শুক্রবার সকাল থেকে মহাসড়কের গোড়াই এলাকায় ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। ওই এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হলেও স্থায়ী নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ফজলুল করিম বৃহস্পতিবার রাতে টেকনিক্যাল বাস্টস্ট্যান্ড থেকে পাবনাগামী ‘নাইট স্টার’ বাসে ওঠেন। বাসটি রাত সাড়ে ১১টায় ছেড়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ ফুড ভিলেজের সামনে অবস্থান করছে।
ফজলুল করিম বলেন, ঢাকা থেকে পাবনা যেতে যেখানে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে সেখানে ১১ ঘণ্টায় কেবল সিরাজগঞ্জ পৌঁছেছি। কখন পাবনা পৌঁছাব জানি না।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ম্যানেজার মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা সুজিত জানান, রাত ৮টায় তিনি গোড়াই এলাকায় যানজটে আটকা পড়েন। ৮ কিলোমিটার আসতে তার প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে।
মির্জাপুর আন্ধরা গ্রামের আশা রাজবংশী জানান, চন্দ্রা থেকে সন্ধা ৭টায় বাসে উঠে রাত সোয়া ৯টায় তিনি মির্জাপুরে নামেন।
গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রায়েজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধার পর থেকে থেমে থেমে যানজট থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকে মহাসড়কের মির্জাপুরের ২০ কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় ধীর গতিতে চলাচল করছে। বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় মহাসড়কে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাজ করতে কিছুটা অসুবিধা হয়েছে বলে জানান।