২০শে এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ , ৭ই রমজান, ১৪৪২ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ভিডিও তৈরির উদ্দেশ্যে এক মোটরসাইকেলে অনেককে একসাথে বসতে দেখেছেন হয়ত, কিন্তু রাস্তায় এমনটা কি কখনো দেখেছেন?
এক মোটরসাইকেলে গোটা পরিবার। ভারতেই হয়তো সম্ভব। এক মোটরসাইকেলে তিনজন যাত্রী দেখা যায় নিয়মিত। পুলিশ ধরতে পারলে জরিমানা হয়। তিনজন যাত্রী নেওয়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, এমন উদাহরণও রয়েছে প্রচুর। যাত্রী সুরক্ষার দিক নিশ্চিত করতে চাইছে পরিবহন দপ্তর।
জি নিউজ বলছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের একাংশ সরকারের সঙ্গে কোনোভাবেই সহযোগিতা করতে রাজি নয়। হেলমেট ছাড়াই মোটরসাইকেলে চড়ছে অনেকেই। পুলিশ জরিমানা করলেও টনক নড়ছে না। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ট্রাফিক আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আরো কঠোর হয়েছে আইন। তবু যেন চেতনা ফিরছে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি মোটরসাইকেলে সওয়ার হয়েছেন মোট সাতজন। অর্থাৎ গোটা পরিবার। সেই পরিবারের কর্তা মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। তাঁর স্ত্রী ও পাঁচটি বাচ্চা রয়েছে মোটরসাইকেলে। সেই ছবিতে বাইক আরোহীর সামনে একজন পুলিশ কর্মীকে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে।
নেটিজেনরা জানিয়েছেন, সেই পুলিশকর্মী চালান কাটেননি। বরং হাত জোড় করে সেই বাইক আরোহীর সামনে দাঁড়িয়ে অনুরোধ করেছিলেন, এতটা বেপরোয়া হবেন না। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবেন না।
বাইকের সামনেই বসেছিল তিনটি বাচ্চা। এমনকি একজন নারী নিজের কোলেও একটি বাচ্চাকে নিয়ে বসে রয়েছেন। কতটা ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা তাঁরা করছিলেন আন্দাজ করতে পারছেন নিশ্চয়ই! সবচেয়ে বড় কথা, বাইকচালক ছাড়া একজনের মাথায়ও হেলমেট ছিল না। এমনকি মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলে ব্যাগও ঝোলানো ছিল। জানা গেছে, ছবিটি তোলা হয়েছে বিহারের ঢাকা এলাকায়।
/এএ