আমলের কারণে নয়, বান্দা মাফি পাবে আল্লাহর রহমতে : আল্লামা মাসঊদ
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কেয়ামতের ঘোর দুর্দিনে বান্দা নিজ আমলের কারণে নয়, মাফ পাবে আল্লাহর রহিম সিফাতের কারণে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, ফিদায়ে মিল্লাত সায়্যিদ আসআদ মাদানী (রহ.) এর খলীফা, শাইখুল হাদীস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
তিনি বলেন, কেয়ামতের দিন বান্দা নেকির এক বিশাল পাহাড় নিয়ে উঠবে। বান্দার কাছে আল্লাহ তায়ালা তখন তাঁর একটা ছোট নেয়ামতের বিনিময় চাইবেন। এই এতো এতো নেকির পাহাড় থাকা সত্ত্বেও বান্দা এক সামান্য নেয়ামতের বিনিময় তখন দিতে পারবে না। বান্দা বলবে, আল্লাহ তুমি রহিম, তুমি রহিম, তুমি রহিম। আল্লাহ তায়ালা তখন নিজ রহিম নামের গুণে বান্দাকে মাফ করে দেবেন। নিজ আমলের কারণে নয়, বান্দা সেদিন মাফ পাবে আল্লাহর রহমতের গুণে।
শুক্রবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় জামিআ ইকরা বাংলাদেশ-এর খতমে বুখারী, দুআ মাহফিল ও ফারেগীনদের পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠানে ইকরা মিলনায়তনে বুখারীর শেষ হাদিসের ব্যাখ্যা দানকালে তিনি এসব বলেন।
আল্লামা মাসঊদ বলেন, আমাদের এই দুআ মাহফিল শুধু খতমে বুখারী উপলক্ষ্যে নয়, খতমে মুসলিম, খতমে তিরমিযী, খতমে নাসায়ী, খতমে আবু দাউদ, খতমে ত্বহাভীসহ দাওরার সব হাদীসের কিতাবের খতম উপলক্ষ্যে এ দুআ মাহফিল।
আরো পড়ুন : অনলাইনে জামিআ ইকরার ইফতেতাহী দারস
বুখারীর শেষ হাদিসের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শাইখুল হাদীস বলেন, আল্লাহ তায়ালার যাবতীয় নাম ও গুণাবলীর সমারোহ ঘটেছে দুইটা শব্দের মধ্যে। সে দুইটা হল, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আজীম’। এ দুটি শব্দের ভারে হাশরের ময়দানে বান্দার গুনাহের ওজনে নুয়ে পড়া মিযানের পাল্লা ওজনশূণ্য হয়ে পড়বে।
এসময় কাকরাইল সার্কিট হাউজ মসজিদের খতীব ও জামিআ ইকরা বাংলাদেশের রঈস মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আজ জামিআ ইকরা বাংলাদেশের ১১তম খতমে বুখারী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের ছাত্ররা জাতির খেদমতে আত্মনিয়োগ করতে প্রস্তুত। জাতির সর্ববিধ সমস্যায় তারা নিজেদের সর্বোচ্চ বিলিয়ে দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি তাদের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।
এছাড়াও বাতিলের প্রতিহিংসা থেকে মুক্ত থেকে পূণ্যময় জীবন যাপন করার তাওফিক ও গোটা জীবন ইলম ও হাদীসের খেদমতে দৃঢ় থাকাসহ কেয়ামতের ময়দানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খাদেম রূপে ফারেগীন ছাত্রদের সবাইকে মাকবুল করার দুআ আহ্বান জানিয়ে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা মাসঊদ।