ইসলামপন্থীদের জনগণ চায় না কেন?

ইসলামপন্থীদের জনগণ চায় না কেন?

ডাক দিয়ে যাই । লাবীব আব্দুল্লাহ

ইসলামপন্থীদের জনগণ চায় না কেন?

ইসলামপন্থী বা ইসলামী ঘরণার কাউকে জনগণ তাদের প্রতিনিধি কেন নির্বাচন করে না সেটি ভাবনার বিষয়৷ প্রায় ৩৬টি নিবন্ধিত ইসলামী দল৷ স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে ৫% ভোটও পায় না দলগুলো৷ ওয়াজ মাহফিলে, হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে, পীর সাহেবের ইসলাহী মাহফিল বা ওরশে লাখ লাখ জনতা! ভোটের সময় নেই সেই জনতা! জনগনের এই প্রত্যাখ্যান কেন? কেন এই অনীহা? আমরা অনেকেই অনেক কারন বলতে পারবো৷ কেউ বলবেন অনৈক্য৷ কেউ মতামত দিবেন সারা বছর জনগনের সেবা কাজে বা পাশে নেই৷ কেউ মন্তব্য করবেন জনস্বার্থ ইস্যু নিয়ে তাদের কোনো কর্মসূচি বা অবদান বা বক্তব্য নেই৷

আরএ নানা কারন রয়েছে৷ ইসলামী ধারার দল ও দায়িত্বশীলগন বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে পারেন৷ কারন নিরুপন করে প্রতিকারের কর্মকৌশল নির্ধারণ করা যেতে পারে৷ উন্নয়নের নামে চলে লোটপাট৷ প্রকল্পে চলে দুর্নীতি৷
সংবাদপত্রে পথ ঘাটের বিধ্বস্ত ছবি বলে কত দুর্নীতি হয় ইট পাথর ও বালি নিয়ে৷ সরকারি ক্রয়ে বালিশ পর্দার কথা বললাম না আর৷ সরকারের নানা বিভাগেও নেই ইসলামী ঘরানার লোকজন৷ কেন নেই তারও অনেক কারণ৷ সরকার পরিচালনায় যে শিক্ষা প্রয়োজন ও প্রশিক্ষণ সেসব নিয়ে মাদরাসা শিক্ষা ভাবতেও রাজি নয়৷ স্বীকৃতির মুলা নিয়ে ব্যস্ত৷ আলিয়া মাদরাসায় মান সম্পন্ন শিক্ষা নেই৷ কোথাও কিছু কিছু আছে৷ আলিয়ায় চরিত্র শিক্ষারও অভাব রয়েছে৷

সাধারণ শিক্ষা থেকে সরকারি লোক নিয়োগ হয় কিন্তু তাদেরকে ইসলামী চিন্তাধারা থেকে দূরে রাখা হয় অথচ দেশে ৯০% মুসলিম৷ নৈতিকতা না শিখলে দুর্নীতি করবেই জনগণের আমানতে৷
দেশে সরকারি বেসরকারি লোকবল নিয়োগ ও সরকার পরিচালনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে যারা ইসলামের কথা বলে রাজনীতি করেন৷ দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে কুরআনি চেতনার লোকবল তৈয়ার সময়ের দাবি৷ জনগণ যেন ইসলামপন্থীদের প্রতিনিধি নিয়োগ করে সেদিকেও মনযোগী হতে হবে যারা ইসলামের কথা বলে রাজনীতি করেন৷

জনগণের স্বার্থেই প্রয়োজন ইসলাম৷ কুরআনি শাসন৷ সিলেটে এমসি কলেজে ধর্ষিতার বিচার যদি কুরআনি আইনে হতো তাহলে বন্ধ হতো ধর্ষণ বা ধর্ষণের মাত্রা হতো শূণ্যের কোঠায়৷ দুর্নীতি দমনে কুরআনি শাসনের বিকল্প নেই৷
ইসলামপন্থীরা গভীরভাবে ভেবে দীর্ঘমেয়াদী কর্মকৌশল নির্ধারণ করবে এই প্রত্যাশা৷ ইসলামী শিক্ষার ব্যাপক আয়োজন, জনসেবা, মানুষের ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করে সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি থাকলে জনতা ইসলামপন্থীদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে আমার মনে হয়৷

ইবনে খালদুন ইনস্টিটিউট

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *