ট্র্যাজেডির পর পুরান ঢাকার ডেটাবেজ তৈরি করছে রাজউক

ট্র্যাজেডির পর পুরান ঢাকার ডেটাবেজ তৈরি করছে রাজউক

পাথেয় রিপোর্ট : চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকার ভবনগুলোর ডেটাবেজ তৈরিতে মাঠে নেমেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। রোববার প্রথম ধাপে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে চকবাজার দিয়ে। এদিন ৪৭ ভবনের ডেটা সংগ্রহ করেন রাজউক কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, ঢাকায় কতগুলো ভবন আছে, কোনটি কয়তলা, কোন ভবনে কী ধরনের কার্যক্রম চলমান প্রভৃতি তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে ডেটাবেজে।

সোমবারও স্বল্পপরিসরে এই কাজ চলেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রাজউকের পরিচালক (জোন-৫) শাহ আলম চৌধুরী। পর্যায়ক্রমে পুরান ঢাকাসহ রাজউকের আওতাধীন পুরো এলাকার ডেটাবেজ তৈরি করার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।

শাহ আলম চৌধুরী জানান, রাজউকের জনবলের অভাব রয়েছে। তার পরও এ কাজটি করতে হবে। এতে রাজউকের কাছে ভবন সম্পর্কিত তথ্য থাকবে এবং যেসব ভবনে মিশ্র ব্যবহার চলবে, সেগুলোকে নোটিশ দেয়া যাবে।

এ ছাড়া রাজউকের অনুমোদনহীন ভবনগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে ভবন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাথমিকভাবে পুরান ঢাকায় তা ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান তিনি।

রাজউক সূত্রে জানা গেছে, ডেটাবেজ তৈরির জন্য একটি ফরম তৈরি করা হয়েছে। এই ফরমে রয়েছে এলাকার নাম। তার পর রাস্তার নাম ও প্রশস্ততা, হোল্ডিং নম্বর, মালিকের নাম, ফোন নম্বর, হোল্ডিংয়ের জমির পরিমাণ বা আয়তন, হোল্ডিংয়ের তলার সংখ্যা, ইমারতের বিবরণ, প্রতি তলার ব্যবহার, রাজউকের অনুমোদন থাকা বা না থাকা, হোল্ডিংটির নির্মাণকাল সংবলিত সরণি রয়েছে ফরমে।

এ ছাড়া সর্বশেষ পর্যায়ে আরেকটি সরণি রয়েছে, যেখানে এসব তথ্য সংগ্রহকারী অথরাইজড অফিসার, চিফ ইন্সপেক্টর, ইন্সপেক্টর ও সহকারী অথরাইজড অফিসার তাদের মতামত দেবেন।

কোনো ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলে তারা মতামতের সরণিতে এ সম্পর্কে মতামত দিতে পারবেন।

কোনো ভবনের সামনে রাস্তার প্রশস্ততা কম থাকলে সে ব্যাপারেও জরিপকারী কর্মকর্তা মতামত দিতে পারবেন। জরিপকারী পুরো ভবন পর্যালোচনা করে স্বাক্ষরসহ মতামত দেবেন।তিনি ভবনের মালিক বা মালিকপক্ষের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে ডেটাবেজ তৈরি করবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *