দেশে বোতলজাত পানির দাম কেন বেড়েছে সে বিষয়ে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। একইসঙ্গে বাজারে আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এ মতামত জানান।
বাজারে আলুর দাম ৭০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি এটা আপনি স্বাভাবিক মনে করেন কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাজারে আলু, পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আছে এটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করি। দাম যৌক্তিকতার বিষয়টি আমার ইয়ে না। আমি দেখব, সেটা বারবার বলার চেষ্টা করতেছি।”
বোতলজাত পানির দাম বাড়ানো নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমি প্রথম শুনলাম এটা। খবর নেবো এটা, কেন বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের কী করণীয় অবশ্যই আমরা এটার ব্যবস্থা নেব।”
সাবান ও গুড়া সাবানের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি-না জানতে চাইলে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, “সাবান নিয়ে এর আগে কেউ প্রশ্ন করে নাই। এটা নিয়ে কোনো কিছু করণীয় আছে কি না সেটা দেখব। আপনার বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। অনেক বিষয় আছে সেটা আমাদের কি না সেটা দেখতে হবে। শিল্পগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের। তাই সাবানের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের আছে কি না সেটা দেখে আপনাদের জানাব।”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “যেকোনো প্রাইজ নির্ভর করে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা যদি সরবরাহ করতে পারি তাহলে দাম কমে যাবে। যতক্ষন পর্যন্ত বাজারে আলু ও পেঁয়াজ কম দামে সরবরাহ না থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যে মূল্য আছে সে মূল্যটাকে আমাকে মূল্য হিসেবে দেখতে হবে। আমি চাইলেই কাউকে এমন কোনো আইন করে বলতে পারবো না। পেঁয়াজের দাম এতো। অত্যন্ত আমি পারবো না। সেটা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলতে পারবে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমার কাছে কৃষি উৎপাদিত পণ্যের মূল্যনির্ধারণ করে দেওয়ার মেকানিজম আমার জানা নাই। আমার জানা আছে যদি দাম বেড়ে যায়, তাহলে আমদানি করে কম দামে বাজারে সরবরাহ করলে দাম কমে যাবে।”