‘খালেদা জিয়ার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে’

‘খালেদা জিয়ার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে’

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত তার হৃদযন্ত্রের এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক বোর্ড। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।

শনিবার (১১ জুন) দুপুরে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, “খালেদা জিয়ার অ্যাকিউট করোনারি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড দ্রুত তার এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

জানা গেছে, শনিবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ এনজিওগ্রাম করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, শনিবার বিকাল ৩টায় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়।

সে সময় শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে দ্রুত তাকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ২টা ৫৫ মিনিটে তাকে নিয়ে গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালের পথে রওনা দেওয়া হয়। পরে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে রাত ৩টা ২০ মিনিটে চেয়ারপারসনকে ভর্তি করা হয়েছে।”

এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কামরুজ্জামান রতন, এ বি এম আব্দুস সাত্তার, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অন্য নেতাকর্মীরা হাসপাতালে উপস্থিতি ছিলেন বলে জানান শায়রুল কবির খান।

তখন হাসপাতাল থেকে বের হয়ে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কাল থেকেই হৃদরোগের সমস্যা বোধ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা চেক করতে গিয়ে বিষয়টা টের পান। পরে রাত ২টার দিকে ডা. জাহিদের কাছে খবর পাই তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। এখন পরীক্ষার পর সমস্যা কতখানি জটিল তা জানা যাবে।”

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া।

দেশে করোনাভাইরাস মহামারি দেখা দিলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে এই পর্যন্ত কয়েক দফায় এ মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *