খুলনায় পৃথক হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

খুলনায় পৃথক হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম :  খুলনায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে স্ত্রী জোহরা খাতুনকে হত্যার অভিযোগে স্বামী নুরুন্নবী শেখকে ও যশোরের কলেজছাত্র নূরুজ্জামান বাবু হত্যা মামলায় আসামি মো. রাজ্জাক পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। রায়ে উভয়কে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) পৃথকভাবে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী ফরিদ আহমেদ জানান, স্ত্রী জোহরা খাতুনকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্বামী নুরুন্নবী শেখকে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নুরুন্নবী শেখ কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও জানান, যৌতুকের দাবিতে ২০১১ সালের ২৫ আগস্ট রাতে খুলনা মহানগরীর বেলায়েত হোসেন সড়কের বাসভবনে স্বামী নুরুন্নবী শেখ তার স্ত্রী জোহরা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর সে তার লাশ ও শিশুপুত্রকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ২৭ আগস্ট খুলনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষী দিয়েছেন।

অপরদিকে, যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র নূরুজ্জামান বাবু হত্যা মামলায় পলাতক আসামি মো. রাজ্জাক পাটোয়ারীকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. মাজাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চত করেন।

এজাহারের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি জানান, ২০২০ সালের ১ জুন রাতে কলেজছাত্র নূরুজ্জামান বাবুকে তার বাড়ির পাশের আম বাগানে ডেকে কোমলপানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর অচেতন করা হয়। পরে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে তাকে অভয়নগরের পুড়াখালী গ্রামের সরকারি বাওড়ের পাশে নিয়ে নাইলনের রশি গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর হত্যাকারীরা তার লাশ বাওড়ের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখে। ঘটনার পরের দিন ২ জুন কলেজছাত্র বাবুর মোবাইল ফোন থেকে তার বাবার মোবাইল ফোনে কল করে অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ২ জুন অভয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

সেই সূত্রধরে পুলিশ আসামি মো. রাজ্জাক পাটোয়ারীকে আটক করে। আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৪ জুন বাবুর লাশ বাওড়ের কচুরিপানার নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত নূরুজ্জামানের বাবা মো. ইমরান গাজী বাদী হয়ে ৪ জুন অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।