পাথেয় রিপোর্ট : লা-মাযহাবী ও মওদুদীরা ইসলামের বন্ধু নয়। তারা ইসলামের শত্রু। মুসলিমদের ভেতর বিভেদ সৃষ্টি করতেই তাদের কার্যক্রম। একদল হাদীসের নামে জালিয়াতি আারেক দল ইসলামে কুরআন হাদীস বিরোধী সূক্ষ্ম ভ্রান্তি ঢুকিয়ে মানুষদের বিভ্রান্তি করে বলে লা-মাযহাবী ও মওদুদীবাদের সমালোচনা করেন জমিয়তে উলামা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির আমীর, শায়খুল হাদীস আল্লামা আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী।
আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম শান্তিপ্রিয় ধর্ম। ধর্মের নামে সন্ত্রাসবাদ করে না ইসলাম। এ ধর্মে অন্যান্য ধর্মালম্বীরাও নিরাপদ। ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই। সর্বকালে উলামায়ে কেরাম সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী।
লা-মাযহাবীদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, লা-মাযহাবীরা মুসলমানদের বিভক্ত করে ফেৎনা সৃষ্টি করতে চায়। তাদের কারণেই সমাজে আজ এতো বিভক্তি। মানুষের বিশ্বাসের মূলে আঘাত করে তারা। যারা চার মাযহাবে বিশ্বাসী নয়, তারা সকলেই দ্বীন ইসলামের চরম শত্রু। তারা মুসলমানদের মধ্যে ফিৎনাফাসাদ সৃষ্টি করতে চায়। ওদের খপ্পর থেকে সকল মুসলমানদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ২টায় সিলেট রেজিষ্ট্রি মাঠে জমিয়তে উলামা বাংলাদেশ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘মাযহাব সংরক্ষণ’ শীর্ষক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
দুর্লভপুরী বলেন, আমরা কোনদিন বাতিলের সাথে আপোস করবো না। আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে কারও সাথে জোট বাঁধব না। জমিয়তে উলামা যেকোন পরিস্থিতিতে নিজস্ব প্লাটফর্মে থেকে সব তাগুতি শক্তির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। যখনই প্রয়োজন পড়বে, অপশক্তির বিরুেদ্ধ মাঠে থাকবে জমিয়তে উলামা। কোন দলকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ বা কারো ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার হবে না জমিয়তে উলামা। আমরা আমরণ ইসলামের পতাকা উড্ডীন করার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবো। লা মাযহাবী ও মওদুদীবাদীদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
জমিয়তে উলামার প্রধান উপদেষ্টা শায়খুল হাদীস আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস লক্ষীপুরীর সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয়। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ক্বারী হারুনুর রশীদ চতুলী ও মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা জয়নুল আবেদীন-এর যৌথ পরিচালনায় মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সহ সভাপতি আল্লামা শামসুদ্দীন দুর্লভপুরী, আল্লামা হিলাল আহমদ হরিপুরী, আল্লামা আব্দুল কাদির বাগরখালী, মাওলানা হাফিজ হারুনুর রশীদ। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামার কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা নজরুল ইসলাম তোয়াকুলী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুখলিসুর রহমান রাজাগঞ্জী।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জব্বার, মাওলানা মুবাশ্বির আলী, মাওলানা আজমত উল্লাহ, মাওলানা আবুল হোসাইন চতুলী, মাওলানা আবরারুল হক, মাওলানা মঈনুদ্দিন, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা লুৎফুর রহমান, মাওলানা বিলাল গাজী, মাওলানা কুতুব উদ্দিন, মাওলানা আশিকুর রহমান, মাওলানা শামসুদ্দিন, মাওলানা খালেদ আহমদ, মাওলানা হাফিজ নজির আহমদ, মাওলানা বদরুল ইসলাম আল-ফারুক, মাওলানা নুরুল ইসলাম নোমানী, মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা বদরুল আলম, মাওলানা সুফিয়ান হামিদ, মাওলানা ইয়াহিয়া শহীদ, মাওলানা রফি উদ্দিন শাহীন, মাওলানা বশির আহমদ, ছাত্রনেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে তালাবার কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা ইমাদ উদ্দিন লাহিন, সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক মাওলানা আসাদ আহমদ, হাফিজ ইকরাম মাহমুদ, হাফিজ মাওলানা সিদ্দিক বিন মোহাম্মদ, জুনেদ শামসী, নজরুল ইসলাম, হাফেজ মারুফ আহমদ প্রমুখ।
এসময় সিলেট রেজিষ্ট্রি মাঠে মানুষের উপস্থিতি ছিলো ব্যাপক। দলীয় নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিলো প্রচুর।