‘জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস কুরাআন কারীম’

‘জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস কুরাআন কারীম’

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম (দিল্লী) : কুরাআন মাজীদকে সব জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস মন্তব্য করে কারী মোহাম্মদ ইসহাক বুলন্দশহরী বলেছেন, পৃথিবীতে যত ধরনের জ্ঞান-বিজ্ঞান আছে এইসব জ্ঞানের মূল হলো কুরআন শরীফ। তিনি বলেন, প্রত্যেক মুসলিমকে কুরআন কারীমের তিলাওয়াত জানতে হবে। যে নিজেকে মুসলিম হিসাবে দাবি করবে তাকে অবশ্যই কুরআন শরীফ শিক্ষা করতে হবে।

কুরআন শরীফ শিক্ষা করা এতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, আল্লাহ তাআলা কুরআন শরীফ শিক্ষা করা ফরয করে দিয়েছেন। উম্মাতকে কুরআন শরীফ শিক্ষার নির্দেশ দিয়ে ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, তোমরা কুরআন শরীফ শিক্ষা করো এবং তিলাওয়াত করো।

কুরআন শরীফ তেলাওয়াতের মাধ্যমে অন্তরে প্রশান্তি আসে দাবি করে ইসহাক বুলন্দশহরী বলেন, কুরআন শরীফ ব্যতীত কোন শিক্ষাই অন্তরকে শীতল করতে পারে না, হৃদয়ে প্রকৃত তৃপ্তি ও শান্তি কুরআন শিক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। কারণ কুরআন শরীফ সবচেয়ে বড় জিকির, আর আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরে শান্তি আসে। হৃদয় শান্ত হয়। তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক মুমিনের সর্বোচ্চ কামনা হলো জান্নাতে যাওয়া। তাই জান্নাতে যাওয়ার জন্য কুরআন শিক্ষা করতে হবে। কুরআন শরীফ শিক্ষা করা ছাড়া জান্নাতে যাওয়ার কোন পথ নেই।

ডেইলি হামারা সমাজে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় ভারতের দিল্লিতে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কারী ইসহাক বুলন্দশহরী এসব কথা বলেছেন।

কুরআন শরীফ হিফজ করা জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন উল্লেখ করে ইসহাক বুলন্দশহরী বলেন, যদি তুমি কুরআন শরীফ মুখস্থ করো, তাহলে এটাই হবে তোমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। দুনিয়া ও আখেরাতে সম্মানী হওয়ার কারণ। একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে কুরাআন শরীফ মুখস্থ করলে এই কুরআন তোমাকে জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছে দিবে।

কারী ইসহাক বুলন্দশহরী বলেন, পিতা-মাতা, অভিভাবকদের উচিত হলো, কুরআন হিফজ করার জন্য শিশু-কিশোরদের অন্তরে উৎসাহ তৈরি করা, যাতে তারা কুরআন হিফজ করতে উদ্বুদ্ধ হয়। তিনি বলেন, কুরআন শরীফ হিফজকারীর জন্যে সহায়ক হলো, কুরআন শরীফ বেশি বেশি তিলাওয়াত করা এবং গভীর মনোযোগসহকারে কুরআন শরীফের তেলাওয়াত শোনা।

হামারা সমাজের সূত্রে জানা যায়, এই হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ৭২ জন অংশ গ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে প্রথম (আশরাফ ফয়সল) দ্বিতীয় (আবদুল্লাহ সাকিব) ও তৃতীয় (মোহাম্মদ আবু জায়েদ ও ফয়জুল করিম) স্থান অর্জনকারীসহ মোট দশজনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

অনুবাদ ও গ্রন্থনা : আদিল মাহমুদ
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির
সূত্র : ডেইলি হামারা সমাজ, দিল্লী

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *