পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ চায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) জোটটি এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর অদূর ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্যের ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকে ই-সিগারেটের বাজার নিয়ন্ত্রণে এর আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধের পাশাপাশি সম্প্রসারণে সহায়ক সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে একটি বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীতে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশে ই-সিগারেটের উৎপাদন-বিপণন নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওই প্রস্তাবে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে এ ধরনের বিবৃতি দিতে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানানো হয়।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট মনে করে, সিগারেট, বিড়ির মতো ক্ষতিকর দ্রব্য সম্পর্কে সাধারণ জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে তামাক কোম্পানিগুলো ই-সিগারেট নামক নতুন পণ্যে তরুণদের আকৃষ্ট করতে চাচ্ছে। তামাকজাত দ্রব্যের মতোই ক্ষতিকর পণ্য ই-সিগারেটের ব্যবহার বাংলাদেশে এখনও খুবই সীমিত। ভারত, শ্রীলঙ্কা, ভুটানসহ বিশ্বের প্রায় অর্ধশতাধিক দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন সংশোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশেও এটি নিষিদ্ধের এখনই উপযুক্ত সময়।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা রয়েছে, সরকার তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদকারী নতুন কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি বিদ্যমান কোম্পানিগুলোকে অন্যকোনও ব্যবসায় বিনিয়োগের নির্দেশনা দেবে। আমরা আশা করি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই বিবৃতি এবং হাইকোর্টের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক রায়ের সঠিক প্রয়োগ ই-সিগারেটের মতো ক্ষতিকর পণ্য নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করবে।