পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভারতের ঐতিহ্যবাহী দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে মহিলাদের নেইলপলিশ ব্যবহারের বিষয়ে কোন ফাতওয়া দেয়া হয়নি বলে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী। তিনি বলেন, নেইলপলিশ ব্যবহার করা হারাম এমন কোন ফাতওয়া দেয়নি দারুল উলূম দেওবন্দ। দেওবন্দের নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
মুফতি ঈসহাক গোরার সঙ্গে দারুল উলূম দেওবন্দের কোন সম্পর্কে নেই উল্লেখ্য করে মুফতি আবুল কাসেম নোমানী বলেন, মুফতি ঈসহাক গোরা কিছুদিন আগে ভারতে ডেইলি পত্রিকাগুলোতে ইসলামে মহিলাদের নেইলপলিশ ব্যবহারের হুকুম কী? এই নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, মুফতি ঈসহাক গোরা বিবৃতিতে বলেছেন, মহিলাদের নেইলপলিশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে দারুল উলূম দেওবন্দের ফাতওয়া হচ্ছে, নেইলপলিশ ব্যবহার করা হারাম। তিনি বলেন, নেইলপলিশ ব্যবহার করা মুসলিম মহিলাদের কালচার নয়, এটা বিধর্মী মহিলাদের কালচার।
দারুল উলূম দেওবন্দের নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে দাবি করে দারুল উলূম দেওবন্দের মুহতামিম বলেন, দারুল উলূম দেওবন্দের বদনাম করা জন্যে দেওবন্দের নামে মিথ্যাচার করা হয়েছে। মহিলাদের নেইলপলিশ ব্যবহারের বিষয়ে দারুল উলুম দেওবন্দ কখনোই কোন ফাতওয়া দেয়নি।
মিল্লি টাইমসে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, মুফতি আবুল কাসেম নোমানী বলেন, ভারতে জাতীয় পত্রিকাগুলোতে যখন দেওবন্দের নামে এই ফাতওয়া প্রকাশিত হলো, তখন অনেকে বিষয়টি তাহকীক করার জন্যে আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন। আসলে দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে এরকম কোন ফতওয়া দেয়া হয়েছে কিনা? তাদের উদ্দেশ্য করে আমি স্পস্ট বলছি, দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে মহিলাদের নেইলপলিশ ব্যবহারের বিষয়ে কোন ফতওয়া দেয়া হয়নি এবং মুফতি ঈসহাক গোরার সাথে দেওবন্দের কোন সম্পর্ক নেই।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে ভারতে ডেইলি পত্রিকারগুলোতে মুফতি ঈসহাক গোরা বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, মহিলাদের নেইলপলিশ ব্যবহার করার বিষয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের ফতওয়া হলো, নেইলপলিশ ব্যবহার করা হারাম। নেইলপলিশ ব্যবহার করা মুসলিম মহিলাদের কালচার নয়, এটা বিধর্মী মহিলাদের কালচার। তিনি বলেছিলেন, ইসলামে মেহেদি ব্যবহারের অনুমতি আছে, কিন্তু নেইলপলিশ ব্যবহারের অনুমতি নেই।
ভারতের বিশেষজ্ঞ আলেমগণও বিষয়টি নিজেদের হতাশার কথা ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশের যে কেউ দারুল উলূম দেওবন্দের নামে ফতওয়া দিতে পারে না। এর জন্য ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
অনুবাদ এ গ্রন্থনা : আদিল মাহমুদ
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির
সূত্র : মিল্লি টাইমস ও উর্দু ডেইলি পত্রিকা