পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থা সংস্কারে নবনির্বাচিত সরকারের পরিকল্পনার প্রতিবাদ করে দেশটির তেল আবিব শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। তারা মনে করেন, এই সংস্কারের ফলে দেশটির গণতন্ত্র হুমকিতে পড়বে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই প্রতিবাদে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিকেই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হিসেবে দেখা হচ্ছে। নেতানিয়াহুর বর্তমান সরকারে কট্টর ডানপন্থি, অতিরক্ষণশীল ও ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন গোষ্ঠীও স্থান পেয়েছে।
জানা গেছে, ইসরায়েলের নতুন সরকার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের যেকোনো সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে প্রস্তাব এনেছে। বিচারক নিয়োগের ক্ষমতাও পার্লামেন্টের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে নেতানিয়াহু সরকার। বিরোধীদের দাবি, এই প্রস্তাব পাস হলে সুপ্রিম কোর্ট দুর্বল হয়ে পড়বে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিচারক এস্থার হায়ুত এই প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়ে একে দেশটির গণতান্ত্রিক পরিচয়ের ওপর ‘মারাত্মক আঘাত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তবে নেতানিয়াহুর দাবি, এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের তিন শাখার মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুস, আস্থাভঙ্গ, প্রতারণার তিনটি মামলা চলছে। তবে সব অভিযোগই অস্বীকার করে আসছেন নেতানিয়াহু।
শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টৎসও৷ এক টুইটে ‘ইসরায়েলি গণতন্ত্র রক্ষার’ জন্য ডান-বাম নির্বিশেষে ইসরায়েলের সব নাগরিককে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
নির্বাচনে লিকুদ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন নেতানিয়াহু। তার জোট সরকারে ধর্মভিত্তিক জায়োনিস্ট পার্টির মতো আল্ট্রা-অর্থোডক্স দলও রয়েছে।