পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পশ্চিমা বিশ্বকে যুদ্ধের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি এবং ইউক্রেনের ধ্বংসের হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। পশ্চিমা নেতারা রুশ ভূখণ্ডের গভীরে হামলার জন্য ইউক্রেনকে তাদের অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেবেন কি-না, এ নিয়ে আলোচনা করার মধ্যেই শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এমন হুমকি দিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেছিলেন, যুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য তার পরিকল্পনা পুরোটাই ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এটি দীর্ঘ-পাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা করার অনুমোদনের একটি স্পষ্ট উল্লেখ, যেটি কিয়েভ দীর্ঘদিন ধরে ন্যাটো মিত্রদের কাছ থেকে চেয়ে আসছে।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে জেলেনস্কির কার্যালয়েল প্রধান অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক বলেছেন, ‘কঠোর সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। সামরিক স্থাপনা, যেখানে সন্ত্রাসের উৎপত্তিস্থল সেগুলো ধ্বংস করে তা বন্ধ করা যেতে পারে।’
কিয়েভ বলেছে, ইউক্রেনে হামলায় মস্কোর ক্ষমতা সীমিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে এই ধরনের আক্রমণ কিছুটা জটিল। তবে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে মস্কোর অভ্যন্তরে হামলা করার অনুমতি দিচ্ছে না মিত্ররা। তাদের ভয় রুশ কর্তৃপক্ষ এটিকে ন্যাটোর একটি বৃদ্ধি হিসেবে বিবেচনা করবে এবং তাদের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করবে।
যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি, এরইমধ্যে রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ অভিযোগ করেছেন, এই সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়ে গেছে এবং কিয়েভের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাই মস্কোকে তার নিজের মতো করে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।
রিয়াবকভের বরাতে বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কিয়েভকে যা খুশি করার পূর্ণ ক্ষমতা এবং সব ধরণের প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাই আমরাও সবকিছুর জন্য প্রস্তুত।’
এসময় তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আর আমরা এমনভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব, যা ভালো হবে না।’
সূত্র: রয়টার্স