পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নজিরবিহীন চাপের মুখে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ ঘোষণা দেন। তবে তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিনি আপাদত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।
বরিসের কাছ থেকে এমন ঘোষণা আসার পর যুক্তরাজ্যের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছে ক্রেমলিন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা সাংবাদিকদের বলেছেন, বরিস তাঁর নিজের ছোড়া বুমেরাংয়ের আঘাতের শিকার হয়েছেন। এই গল্পের শিক্ষণীয় বিষয় হলো, রাশিয়াকে ধ্বংস করার চেষ্টা করবেন না।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, জনসন সত্যিই আমাদের পছন্দ করেন না। এবং আমরাও তাঁকে পছন্দ করি না।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কিয়েভের লড়াইয়ে ধারাবাহিকভাবে সমর্থন দিয়ে জুগিয়ে আসছেন বরিস।
পেসকভ বলেন, তিনি আশা করেন আরও পেশাদার মানুষ, যাঁরা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তাঁরা লন্ডনে দায়িত্ব নেবেন।
এদিকে ইউক্রেন বরিস ইস্যুতে রাশিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কিয়েভের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবচেয়ে কঠিন সময়ে পাশে থাকায় বরিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর গতকালই প্রধানমন্ত্রী বরিসকে ফোন করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বরিসের পদত্যাগের খবরে জেলেনস্কি ফোনালাপে দুঃখ প্রকাশ করেন।
জেলেনস্কি বলেছেন, শুধু তিনি একাই নন, ইউক্রেনের সমাজের সবাই, যাঁরা বরিসের প্রতি অনেক সহানুভূতিশীল, তাঁরা ইউক্রেনকে সহায়তায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বরিস ও জেলেনস্কির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমনকি বরিস যুদ্ধের মধ্যেই কিয়েভ সফর করেন। জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এপ্রিলের অন্ধকার সময়ে বরিসের ইউক্রেন সফরকে তাঁরা সব সময় মনে রাখবেন।