পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : এই রমজানে সময় বাকী থাকতেই আল্লাহর কাছ থেকে গুনাহ খাতা মাফ করিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, বাংলাদেশে জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ইকরা ঝিল মসজিদ কমপ্লেক্সে জুমার বয়ানে ফিদায়ে মিল্লাতের তিনি এ আহ্বান জানান।
‘জাহান্নাম থেকে মুক্তির দশক’ লাভ করার আকাঙ্খা ব্যক্ত করে শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম বলেন, আল্লাহ তাআলার মেহেরবানীতে, তাঁরই ফযল ও করমে আমরা রহমতের দশ দিন অতিক্রম করে, মাগফিরাতের দশ দিন অতিক্রম করছি। আগামীতে আল্লাহ তআলা যদি মেহেরবানী করেন তাহলে জাহান্নাম থেকে মুক্তির দশ দিনও আমরা পাবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলার কাছে প্রতিটা দিনই রহমতের, প্রতিটা দিনই মাগফিরাতের, প্রতিটা দিনই জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার। যেমন প্রতিদিন ইফতারের সময় আল্লাহ তাআলা ‘প্রচুর সংখ্যক’ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। আল্লাহ তাআলা নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বলেননি। আল্লাহ তাআলা যখন ‘প্রচুর’ বলেন তখন তাঁর শান অনুযায়ী করে থাকেন। আল্লাহ তাআলা যত বড়, তাঁর শানও ততো বড়।
রমজানের বাকী সময় ইবাদাতের সাথে কাটানোর আহ্বান জানিয়ে ফিদায়ে মিল্লাত রহ.-এর এই খলীফা বলেন, রমজানের যে দিনগুলো চলে গেছে, তা চলে গেছে। তা আর ফেরানো যাবে না। রমজানের আরও যে অর্ধেক সময় বাকী আছে সে সময়ে আল্লাহর কাছে এত কান্নাকাটি করি, যেন আল্লাহ তাআলা আমাদের সব গুনাহ খাতা মাফ করে দেন। যে কয়টা দিন আছে এগুলো এখন কাজে লাগাই। এই কয়টা দিন কাজে লাগাতে পারলে আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলের গুনাহ খাতা মাফ করে দিবেন, ইনশাআল্লাহ।
বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াতের নাসিহা করে শাইখুল ইসলাম বলেন, রমজানের নফল ইবাদাতের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হলো কুরআন তেলাওয়াত করা। আমরা যারা পারি, তারা বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করি। আর যারা পারি না তারা এই রমজানেই কুরআন শরীফ তেলাওয়াত শিক্ষালাভ করার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করি।
আল্লাহর রাস্তায় দান করার আহ্বান জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, রমজানের আরেকটি বড় আমল হলো, আল্লাহর রাস্তায় দান-সাদাকা করা। এটা রমজানের বিশেষ আমল। রমজান আসলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দান-সাদাকার পরিমাণ বেড়ে যেত। সুতরাং ভাই, সময় চলে যাচ্ছে। সময় থাকতে আমরাও নেকীর পরিমাণ বাড়িয়ে দেই। সময় থাকতেই নিজেদের গুনাহ খাতা মাফ করিয়ে নেই।