পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : এ আইনে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তি ও অভিযোগ প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেসিস।
দেশের সাইবার সিকিউরিটি আইনকে মতপ্রকাশ ও মানবাধিকারের জন্য হুমকি অভিহিত করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, “এই আইন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন (ডিএসএ) ২০১৮ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন ২০০৬ এর ধারা ৫৭ এর দমনমূলক আচরণটিই অব্যাহত রেখেছে, যেটি দেশের সংবিধানের পরিপন্থি এবং একইসঙ্গে মানবাধিকারের উপর চরম হুমকি।”
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনি প্রবেশ, কম্পিউটার ও কম্পিউটার সিস্টেমে ক্ষতি সাধন, সাইবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধের জন্য অজামিনযোগ্য চারটি ধারা রেখে গত বছরের ২৮ অগাস্ট সাইবার নিরাপত্তা আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার করে এ আইন হলেও নতুন আইনকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ব্যক্তি নিরাপত্তার জন্য ‘হুমকি’ হিসেবেই দেখছিলেন অনেকে।
বেসিস তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “সাইবার সিকিউরিটি আইন সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্য করে ব্যবহার করা হয়েছে হরহামেশা, যদিও আইন প্রণয়নকারীরা বারবার এই আইন প্রণয়নের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি প্রদর্শন করে এসেছেন এতদিন।
“সাম্প্রতিক ঘটনা, যেমন কোটাব্যবস্থার সমালোচনার জন্য অসংখ্য ব্যক্তির গ্রেপ্তার এবং ব্যঙ্গাত্মক পোস্টের জন্য অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই আইনের অপব্যবহারের উদাহরণ।”
বেসিস পরিচালক এম আসিফ রহমান বলেন, “সাইবার সিকিউরিটি আইন কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বেশিরভাগ বিধানই বজায় রেখেছে। এই আইন কর্তৃপক্ষকে কোনো অনুমতি ছাড়াই ব্যক্তিদের অনুসন্ধান, গ্রেপ্তার এবং আটক করার অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদান করেছে। এই আইন সরকারকে অনলাইন কন্টেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দেয় এবং বাক স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে।”
সংগঠনটির সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, “আমি আমার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, এই আইনের অনেক অপব্যবহার হয়। বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তি নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
“ভিন্নমত দমনের অবসান ঘটাতে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে এই আইন বাতিল করতে হবে।”
এ আইনে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেসিস।