পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের ভোট বর্জনের পক্ষে গণসংযোগ কর্মসূচি শেষে এ ঘোষণা দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।
কর্মসূচিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, ভোটকেন্দ্রে মানুষ যাবে না জেনেই—নিজেদের স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছে। সরকার নিজেদের মতো ভোট দেখানোর চেষ্টা করবে, তাতে কাজ হবে না। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বে তারা মৃতপ্রায়। ক্ষমতা ধরে রাখতে বাংলাদেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে না যেয়ে মানুষ গণপ্রতিরোধের নতুন সূচনা ঘটাবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার বিভিন্ন বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রেখে নির্বাচন পার করার চেষ্টা করছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত হতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান— এখনও সময় আছে নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দিন। পদত্যাগ করে অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে উদ্যোগ নিন।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো—আগামীকাল সন্ধ্যার মধ্যে সংবিধানের ক্ষমতাবলে ৭ তারিখের নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করুন।
আগামী ৯০ দিনের মধ্যে আমাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে অন্তবর্তীকালীন সরকার অথবা জাতীয় সরকার গঠন করে একটি সুষ্ঠ ভোটের আয়োজন করুন। যদি তা না করেন আমাদের বিশ্বাস, বাংলার মানুষ ৭ তারিখে আপনাদের নাটকের দর্শক হবে না।
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে ৬ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ৮ জানুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত (৪৮ ঘণ্টা) দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।