আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ‘অস্বাস্থ্যকর’ পরিস্থিতিতে ঢাকা

আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ‘অস্বাস্থ্যকর’ পরিস্থিতিতে ঢাকা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকার বাতাসও দীর্ঘদিন ধরে দূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বায়ুমানে কিছুটা উন্নতি হয়। তবে বৃষ্টিপাত কমতেই ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ৯টা ৪১ মিনিটের দিকে বায়দূষণে বিশ্বের ১২১টি শহরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। এ সময় আইকিউএয়ারের তালিকার মানসূচকে ঢাকার স্কোর ১৯০। বাতাসের এ মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়।

আজ ভারতের দিল্লি শহর রয়েছে শীর্ষে অবস্থান, যার স্কোর ৩১৪, একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থান রয়েছে কিনসাসা, যার স্কোর ২০৪ আবার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, যার স্কোর ১৯০। এরপর রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যার স্কোর ১৮০। এ ছাড়া পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইরাকের রাজধানী বাগদাদের স্কোর ১৬৬।

বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে থাকে।

ঢাকার বায়ু আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। এ বায়ু সেবন যেকোনো মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। বায়ুদূষণের যে অবস্থা সেখান থেকে সুরক্ষায় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার। এরমধ্যে আছে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা, খোলা স্থানে ব্যায়াম না করা এবং জানালা বন্ধ করে রাখা।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন -বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

Related Articles