আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অনুরোধ

আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অনুরোধ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে শহীদের মর্যাদা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিবারকে এককালীন এক কোটি টাকা দেওয়াসহ পাঁচটি অনুরোধ করেছেন আহতরা।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পক্ষে এমন অনুরোধ জানান সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মো. সালমান হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আহতদের মধ্যে এখনও অন্তত ১০০ জন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, কারও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া দরকার।”

সংবাদ সম্মলনে সরকারের প্রতি পাঁচটি অনুরোধ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতরা।

সেগুলো হল–

• বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রাণহানির সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে তাদের শহীদের মর্যাদা দিতে হবে এবং নিহত সবার পরিবারকে এককালীন ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি টাকা দিতে হবে।

• সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আহত সবার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান দিতে হবে।

• সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক রোগী আছেন, যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

• আন্দোলনে আহতদেরকে এককালীন ক্ষতিপূরণ ও দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

• আহত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যাবতীয় খরচ সরকারকে বহন করতে হবে এবং আহত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করতে হবে।

সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জুলাইয়ের মাঝামাঝি তা সহিংস রূপ পেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কারফিউ জারি করে। অগাস্টের শুরুতে ছাত্রদের সেই আন্দোলন পরিণত হয় সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনে।

প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

আন্দোলনের মধ্যে ১৬ জুলাই থেকে ৬ অগাস্ট পর্যন্ত সাড়ে সাতশর বেশি মানুষ নিহত হওয়ার তথ্য এসেছে সংবাদমাধ্যমের খবরে, আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির হিসাবে, ৭০ শতাংশ মৃত্যুই হয়েছে গুলিতে।

Related Articles