মোস্তাফিজের জাদুকরি বোলিংয়ে বাংলাদেশের জয়

মোস্তাফিজের জাদুকরি বোলিংয়ে বাংলাদেশের জয়

ক্রীড়া ডেস্ক : মোস্তাফিজের জাদুকরি বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের শুরুতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে লড়াই, যে বীরত্ব সেটা আবার ফিরে পেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাসরুদ্ধকর ম্যাচে অবশেষে জয় পেল বাংলাদেশ দল। জয়ের জন্য শেষ ওভারে আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। স্নায়ু চাপের ম্যাচে শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তার অসাধারণ বোলিংয়ের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ৩ রানে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ।

৬ বলে ৮, ২ বলে ৫, ১ বলে ৪—স্নায়ুর চরম পরীক্ষা। এমন স্নায়ুক্ষয়ী মুহূর্তে কতবার পা হড়কেছে বাংলাদেশ। আজ আর পথ হারায়নি, চাপকে জয় করে আবুধাবিতে বাংলাদেশ পেয়েছে দুর্দান্ত এক জয়। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আফগানিস্তানকে ৩ রানে হারিয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন মাশরাফিরা।

ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে মাশরাফির জন্যও। এই ম্যাচে দুই উইটে নিয়ে ওয়ানডেতে ২৫০ উইকেট শিকারীর তালিকায় নাম লেখালেন মাশরাফি। আফগান ব্যাটসম্যান হাসমতউল্লাহ শহীদিকে বোল্ড করে এই এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি।

৬ বলে ৮, টি–টোয়েন্টির এই যুগে কঠিন কিছু নয়। কিন্তু আফগানিস্তানের কাছে কাজটা কঠিন করে তুললেন মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ ওভারে বাঁহাতি পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশকে এনে দিল অসাধারণ এক জয়। আফগানদের দরকার ছিল ৮ রান, মোস্তাফিজ দিলেন মাত্র ৪ রান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাশরাফি বিন মুর্তজা তাঁই বললেন,‘জাদুকরি বোলিং করেছে মোস্তাফিজ!’

শুরুতেই টাইগার শিবিরে আঘাত হানেন আফগান ফাস্ট বোলার আফতাব আলম। ইনিংসের ৫ম তম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি করেন ০৬ রান (১৮ বল)। এরপরেই নাজমুল হোসেন শান্তর পথেই হাটেন মোহাম্মদ মিথুন। নাজমুল আউট হবার পরের ওভারেই এলবিডব্লিউর ফাদে ধরা পড়েন মিথুন। তাকে আউট করেন আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান। মিথুন করেন ২ বলে ১ রান।

ইনিংসের ১৯তম ওভারের ৪র্থ বলে আউট হয়ে ফিরে যান লিটন দাস। তিনি করেন ৪১রান (৪৩ বল)। তাকে আউট করেন আফগান স্পিনার রশিদ খান।এরপর রান আউটের ফাঁদে পড়েন সাজঘরে ফিরেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।ইনিংসের ১৯ তম ওভারের শেষ বলে শূন্য রানে আউট হন সাকিব। আর ২১তম ওভারের ৫ম বলে রান আউট হন মুশফিক। তিনি করেন ৩৩ রান।

২১ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৭ রানের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস রানের ১২৮ রানের জুটি করে দলকে লড়াকু পুজি এনে দেয়। ৪৭ তম ওভারের ২য় বলে ক্যাচ আউট হয়ে ৭৪ রান প্যাভিলিয়নে ফিরেন রিয়াদ। তাকে আউট করেন আফতাব আলম।

রিয়াদ আউট হয়ে ফিরে গেলে ইমরুলকে সঙ্গ দিতে আসেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু ৪৯তম ওভারের ৫ম বলে ১০ রান করে উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন ম্যাশ। শেষ পযন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২৪৯ রান করে বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস অপরাজিত থাকেন ৭২ রানে। আর ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামা মেহেদি করেন ৫ রান।

আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুইজন ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৫৩ রান করেন ওপেনার শাহজাদ। ৭১ রান করেন হাশমতউল্লাহ শহীদি। ২৮ বলে ৩৮ রান করেন মোহাম্মদ নবী। ১৯ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।

ফাইনাল নিশ্চিত করতে বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *