কাউসার মাহমুদ : বিশ্ব নন্দিত আলেম, তালীম ও তরবিয়তের প্রসিদ্ধ বুযুর্গ, দারুল উলুম দারাইন তার্কিসর গুজরাতের শায়খুল জামিআ আল্লামা আব্দুল্লাহ কাপদওয়ারী দীর্ঘদিন অসুস্থতার পর মঙ্গলবার ইন্তেকাল করেছেন।(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
এই সংবাদে ভারত-আরববিশ্বসহ বিজ্ঞ আলেম ও মনীষাদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে পরিবারের প্রতি দোআ, ধৈর্য ও দৃঢ়পদ থাকার আহবান জানিয়েছেন প্রবীণ আলেমরা।
এছাড়াও জামিআ তীবি মদীনার ‘ফিকহুল ইসলামি ‘বিভাগের উস্তাদ শায়খ আমের বাহজাত আবেগঘন এক শোক বার্তায় বলেন, মহান আল্লাহর কাছে তার পবিত্র মহিমান্বিত সত্বার আশ্রয় নিয়ে প্রার্থনা করছি। তিনি যেন তার বান্দা শায়খ আব্দুল্লাহ আল কাপদওয়ারীকে ক্ষমা করে দেন। আমি আল্লাহর কাছে তার শান্তি ও জান্নাতের উচ্চ আসন লাভের দোআ করছি। মহান আল্লাহ যা দান করেছিলেন তার নবী, রাসূল, সিদ্দিকীন ও শহীদদের। আর তাকে অন্তর্ভুক্ত করে নেন সেসব পূণ্যবান লোকদের।
এই মনীষা আলেম মুখলীস, সালেহীন এবং আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত বিশেষ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আমি তার সঙ্গে কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছি এবং তার সাক্ষাতে এক আশ্চর্য অনুভূতি উপলব্ধি করেছি। তিনি পরিচ্ছন্ন হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা যা তার একান্ত বিশেষ বান্দাদের দান করেন। তিনি তার পুরো জীবন ও সব সম্পদকে একমাত্র আল্লাহর দ্বীনের জন্যই খরচ করেছেন। মাদরাসা এবং তালিবুলইলমদের খেদমতেই বিসর্জন দিয়েছেন তার সমস্ত উপার্জন। আমি যখন তার সঙ্গে কোনও বৈঠকে বসেছি দ্বীনের খেদমত বিষয়ক আলোচনায় তার চেয়ে ধীমান আর কাউকে পাইনি। তার থেকে জ্ঞানী-গুণী ও কিতাব ছাড়া অন্যকিছু সম্পর্কে কোনও কথাই শুনিনি। আল্লাহ তার ইলমে সীমাহীন গভীরতা দান করেছিলেন। কয়েকমাস আগে তিনি মদীনা মুনাওয়ারায় অবস্থান করছিলেন। তার সাক্ষাতে গেলে আমি তাকে গভীর মুতাআলায় নিমগ্ন পাই। যেন ডুবে আছেন কিতাবের ভেতর। তখন তিনি খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে আমাকে কিতাব দেখালেন এবং সেটি ক্রয় করে নিয়ে গেছেন মাদরসার মাকতাবার জন্য।
আমি বিনীতভাবে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, আল্লাহ তায়ালা তাকে সম্মানিত করবে এবং তার প্রতি দয়াপরবশ হবেন। তাকে দান করবেন জান্নাতুল ফেরদাউস। আমীন।
আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন এবং তার ওপর রহমত বর্ষণ করুন।
সূত্র : আরব নিউজ ও শায়খ বাহজাতের সরাসরি অডিও থেকে সংগৃহীত
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির