পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ইসলামে অন্যতম স্তম্ভ হলো যাকাত। অন্যান্য দেশের মতো আরব আমিরাতের মুসলিমরাও যাকাত দিয়ে থাকেন। আরব আমিরাতের নাগরিকের দেওয়া যাকাতের একটি অংশ ভারত ও পাকিস্তানের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছানো হয়।অনলাইন ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে এ যাকাতের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। এই ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় কী পরিমাণ যাকাত দিতে হবে, যা মোট সঞ্চয়ের ২ দশমিক ৫ শতাংশের সমান।
মুজাম্মিল শেখ নামের পাকিস্তানি বংশ্দ্ভূত একজন আমিরাতি, তিনি প্রতি বছর রমজান মাসে মুজাম্মিল শেখ ও তার ভাই কী পরিমাণ যাকাত দিতে হবে তা হিসেব করেন। এরপর কাদেরকে ওই যাকাত দেবেন তা নির্ধারণ করেন। তারা যাকাতের একটা অংশ তাদের মায়ের বন্ধবীকে দান করেন যিনি স্বামী ও কর্মহীন। যাকাতের একটা অংশ তারা পাকিস্তানে করাচির কয়েকটি পরিবারের মধ্যে রুপিগুলো ভাগ করে দেওয়া হয়।
মুজাম্মিল শেখ জানান, যাকাতের পুরো বিষয়টি এমনভাবে সম্পাদন করা হয় যাতে তা সঠিকস্থানে অভাবগ্রস্তদের হাতে পৌঁছে যায়। ৩৫ বছর বয়সী মোজাম্মেল শেখ একজন প্রকৌশলী। তিনি তার জীবনে প্রায় পুরোভাগই আমিরাতে কাটিয়েছেন।পাকিস্তানে যাকাতের অর্থ দরিদ্র আত্মীয়দের পাঠিয়ে থাকেন যাতে তারা ঈদ-উল ফিতরে জামাকাপড় ও খাবার কিনতে পারে। এ ছাড়া তিনি কুরবানি দেওয়ার জন্য ঈদ উল আজহায় টাকা পাঠিয়ে থাকেন।
তিনি জানান, ‘এই যাকাত যাকে তাকে দিয়ে দেওয়া উচিত নয়, যাকাতের উপযুক্ততা বিবেচনা করে বন্টন করা উচিত। যাকাত বাইরের লোকদেরকেই দিতে হবে তা নয়। পরিবারের কেউ যদি অভাবী থাকে তবে তাকে দিয়েই এ যাকাত শুরু করা যায়। যাকাত তাকেই দেয়া উচিত যার প্রকৃতই অর্থের অভাব রয়েছে।’
মাথিলি লোজায়নে নামের ৩৫ বছর বয়সী এক ফরাসী নারী ১৭ বছর বয়সে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ২০০৭ সাল থেকে তিনি দুবাইতে বসবাস করছেন। সম্প্রতি ভারতে গিয়ে তিনি যাকাত দিয়েছেন। ভিক্ষুকদের অর্থ সাহায্য করেছেন। আগ্রার একটি পশু সংরক্ষণ সংস্থাতেও তিনি যাকাতের অর্থ দান করছেন।
এ ছাড়া তিনি যাকাত আল ফিতর নামের একটি সংস্থাকে যাকাতের অর্থ প্রদান করেন।
লোজায়নে বলেন, যদিও আমি এ বছর ভারতে জাকাত দিয়েছি কিন্তু ভারতকে আমি ‘খুব বেশি দূরের স্থান’ মনে করি না । এর মাধ্যমে নিজের প্রতিবেশীকেই যাকাত দেওয়া হলো বলে মনে করি। কারণ, যাদের অভাব রয়েছে শুধু তাদেরকেই যাকাত প্রদান করতে হয়।
সূত্র : দ্য ন্যাশনাল