আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যে কখনও প্রীতি ম্যাচ হয় না

আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যে কখনও প্রীতি ম্যাচ হয় না

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ফুটবল মানেই উত্তেজনা-উন্মাদনা। ফুটবলপ্রেমীদের কাছে মাঠের নব্বই মিনিট যেন জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়! আর ম্যাচটি যদি হয় আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের, তাহলে সেই উত্তাপ পৌঁছে যায় অন্য মাত্রায়। উত্তাপ আর তর্ক-বিতর্কের ছড়িয়ে পড়ে পুরো ফুটবল জগতে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মানেই একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। ব্রাজিল আর্জেন্টিনা মুখোমুখি লড়াই মানেই বিশ্বের কোটি কোটি দর্শকদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা, রোমাঞ্চ ও বৈরীতা। দু’দলের খেলোয়াররা কেউ কাউকে মাঠে যেমন ছাড় দিয়ে কথা বলে না তেমনি দর্শকরাও প্রতিপক্ষের সমর্থকদের দুয়োধ্বনি দিতে ভুল করে না।

আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দু’দলই এখন সৌদি আরবে। রিয়াদে প্রস্তুতিপর্ব শেষ করে এখন মহারণের অপেক্ষায় প্রহর গোনা। ১৬ অক্টোবর মঙ্গলবার জেদ্দায় বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় অগ্নিগর্ভ প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। সবই ঠিক আছে, আপত্তি শুধু ‘প্রীতি ম্যাচ’ শব্দযুগলে। আপত্তি উঠেছে দুই শিবির থেকেই।

শুক্রবার রিয়াদে স্বাগতিক সৌদি আরবকে ২-০ গোলে হারানোর পর ব্রাজিল কোচ তিতে বলে দিয়েছেন সবার মনের কথাটা, ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা কখনও প্রীতি ম্যাচ হয় না। সেই ম্যাচে আমাদের আরও ভালো করতে হবে। তা নাহলে আমরা মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়বো। এই কথাটাই আবার কাল অনুরণিত হল আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্দির কণ্ঠে, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যে কখনও প্রীতি ম্যাচ হয় না। এ ম্যাচ ঘিরে থাকে অনেক আবেগ ও উত্তেজনা। গত মাসে আমরা কলম্বিয়ার মতো দলের বিপক্ষে খেলেছি। তারাও দুর্দান্ত দল। কিন্তু ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলা মানে অন্য কিছু। ওদের বিপক্ষে মাঠে নামলে সেটা আর প্রীতি ম্যাচ থাকে না। এটা কখনও হবেও না।

আকাশি-সাদা ও নীল-হলুদ জার্সি মাঠে মানেই মাঠে ও বাইরে তীব্র এক লড়াই। ভুল কিছু বলেননি ইকার্দি। চিরবৈরী দুই লাতিন পরাশক্তি যেখানে যে মোড়কেই মুখোমুখি হোক না কেন, তৈরি হয়ে যায় অগ্নিগর্ভ আবহ। এবার অবশ্য নতুন চেহারার এক দল নিয়ে ব্রাজিলের মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা। মেসি, আগুয়েরো, হিগুয়াইন ও ডি মারিয়ার মতো মহাতারকাদের অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে ইরাককে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিলেও ব্রাজিলের বিপক্ষে কোনোভাবেই ফেভারিট বলা যাচ্ছে না আর্জেন্টিনাকে। গত মাসে কলম্বিয়ার বিপক্ষেই দেখা গেছে বড় ম্যাচের চাপ নিতে পারে না লিওনেল স্কালোনির তরুণ দলটি। তবে এই দলটিকেই আর্জেন্টাইন ফুটবলের ভবিষ্যৎ মনে করছেন ইকার্দি, আমরা একটি নতুন প্রকল্প অনুসরণ করছি। অনেক নতুন খেলোয়াড় আসছে, যাদের অনেকের গায়ে প্রথমবারের মতো উঠছে আর্জেন্টিনার জার্সি। পালাবদলের এই সময়ে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা সবাই মিলে ভবিষ্যতের জন্য একটি ভিত তৈরি করার চেষ্টা করছি। কিছু নির্মাণের চেষ্টা চলছে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রাজিলের বিপক্ষে অনভিজ্ঞ এই দলটিকে নেতৃত্ব দেবেন পাওলো দিবালা ও ইকার্দি। শতভাগ ফিট না হওয়ায় ইরাকের বিপক্ষে খেলা হয়নি ইকার্দির। চোট কাটিয়ে ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামতে প্রস্তুত ইন্টার মিলান তারকা, এখন আমি পুরোপুরি সুস্থ। মাঠে নামতে প্রস্তুত। আকাশি-সাদা ও নীল-হলুদ জার্সি গায়ে দুই দলের খেলা দেখতে চায় বিশ্ববাসী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *