‘আল্লামা মাসঊদের ছায়াতলে থাকুন, দুনিয়া ও আখেরাতে নাজাত পাবেন’

‘আল্লামা মাসঊদের ছায়াতলে থাকুন, দুনিয়া ও আখেরাতে নাজাত পাবেন’

‘আল্লামা মাসঊদের ছায়াতলে থাকুন, দুনিয়া ও আখেরাতে নাজাত পাবেন’

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, মাওলানা সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী রহ.-এর খলীফা, শাইখুল হাদীস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের হাতে বায়আত হয়ে, তাঁর সুহবতে থাকার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাইফি বলেন, ‘আল্লামা মাসঊদের ছায়াতলে থাকুন, দুনিয়া ও আখেরাতে নাজাত পাবেন।’

তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রতিটা জেলার প্রত্যেকটা থানায় সফর করেছি। শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, তাদের জীবনাচরণ ও ইবাদত-বন্দেগী দেখছি, কিন্তু আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দা.বা. এর যোগ্যতাসম্পন্ন আলেম, সিদ্দিক, আবেদ, সালেহ ও বুজুর্গ একজনও দেখিনি। তাই আপনারা তাঁর সামাজিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা’-এর সামিয়ানার নিচে আসুন। তাঁর নেতৃত্বে ইসলাম ও দেশের জন্য কাজ করুন। ইনশাআল্লাহ আপনারা দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াব হবেন, সম্মানিত হবেন।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বাদ মাগরিব রাজধানীর ইকরা বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা আয়েজিত মাসিক ইসলাহী মাহফিলে মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাইফি।

জিকির ব্যতিত অন্য কোন ইবাদত আল্লাহ তাআলা বেশি বেশি করতে বলেননি উল্লেখ করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহীম কাসেমী বলেন, আল্লাহ তাআলা নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতের মত ইবাদতও বেশি বেশি করতে বলেননি, কেবল মাত্র তাঁর নামের জিকির বেশি বেশি করার কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, আল্লাহর জিকির অন্তরে শান্তি দেয়, মনে প্রফুল্লতা সৃষ্টি করে। জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন হয়। পৃথিবীর সর্বত্র এখন অশান্তি বিরাজ করছে, তার অন্যতম কারণ হলো আমরা আল্লাহ বিমুখ হয়ে দুনিয়ামুখী হয়ে গেছি, আল্লাহওয়ালা মানুষের সুহবত থেকে দূরে থাকি। পৃথিবীতে আবার শান্তি আসবে, যদি আমরা আল্লাহ মুখী হই, আল্লাহওয়ালা মানুষের সুহবত থাকি। আর বেশি বেশি করে আল্লাহর জিকির করি। আল্লাহর জিকিরে অন্তরে শান্তি আসে। এতে করে দ্বীনের কাজকর্ম করতে ভালো লাগে।

নেক এবং এক হওয়ার কথা বলে আল্লাহর রহমতের দিকে ফিরে আসার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার মহাসচিব বলেন, বর্তমান সময়ে নেক এবং এক হওয়ার কোন বিকল্প নেই। আমরা সবাই চাই একটি আলোকিত সমাজ গঠন করতে, শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে। আলেম ও জনসাধারণের পথচলা একটি সামিয়ানার নিচে নিয়ে আসতে। বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা এই সব লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করছে।

ইসলাহী মাহফিলের সভাপতি ও ইকরা বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন এশারের নামাজের পর দুরুদের আমল পরিচালনা করেন।

করোনা মহামারি থেকে মুক্তি ও বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে মাহফিলের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাইফী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *