ইরানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

ইরানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম:  ইরানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এমনটাই দাবি করা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কৌশলবিদ ও পশ্চিমা বিশ্বের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এমনটা জানিয়েছে সংবাদপত্রটি।

গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ইরানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই খবর এমন এক সময়ে এল, যখন ইসরায়েল লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। ইরানে হামলা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংকট অঞ্চলটিতে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে পারে।

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ওই নিরাপত্তা বিশ্লেষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, এ দুটি পাইপলাইনের মাধ্যমে ইরানের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। ওই বিশ্লেষক বলেছেন, ‘এই দুটি হামলার ফলে ইরানের গ্যাস সরবরাহের অন্তত ১৫ শতাংশ বন্ধ হয়ে গেছে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ দুই হামলার ফলে ইরানের ফারস, চাহার ও মহল বখতিয়ারি প্রদেশে গ্যাস সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বলা হয়েছে, এর ফলে কয়েক লাখ মানুষের রান্না ও বাড়িঘর উত্তপ্ত করা একপ্রকার স্থবির হয়ে গেছে। একই সঙ্গে এই প্রদেশগুলোতে শিল্প উৎপাদনেও স্থবিরতা এসেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইসরায়েল এর আগেও একাধিকবার ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলা চালিয়েছে। এমনকি ইরান ও ইরানের বাইরে দেশটির বিজ্ঞানী ও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করেও একাধিক গুপ্তহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে তেল আবিব।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলা ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যে ছায়াযুদ্ধ চলছে সেটিকে উসকে দেবে। বিগত কয়েক দশক ধরেই ইরান ও ইসরায়েল বিভিন্ন ফ্রন্ট বিশেষ করে, সাইবার দুনিয়া, অন্য দেশে প্রক্সি যুদ্ধ, আকাশ, সাগর এমনকি স্থলভাগেও লড়াই চালিয়ে আসছে।

এই হামলার বিষয়ে ইরানের তেলমন্ত্রী স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই হামলা পরিকল্পিত এবং ইরানের বিভিন্ন প্রদেশে গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানোর জন্যই এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে তিনি হামলাকারী হিসেবে ইসরায়েলের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি।

আইআরজিসির কৌশলবিদ ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই হামলা থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইহুদি জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রটি ইরানের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোর বিষয়ে গভীর জ্ঞান রাখে। এবং একই সঙ্গে দুটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর বিষয়টি খুবই কঠিন ছিল কারণ এর সমন্বয় সাধন খুবই কষ্টসাধ্য। পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেছেন, তবে এই হামলায় খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। ইরান দ্রুতই তা মেরামত করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *