পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গত নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর প্রথমবারের মতো শনিবার লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে একাধিক রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার পর গত চার মাসের মধ্যে লেবাননে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, দক্ষিণ লেবাননে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন কয়েক ডজন রকেট লঞ্চার এবং একটি কমান্ড সেন্টারে বিমান হামলা চালিয়েছেন ইসরায়েলি সৈন্যরা।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় দক্ষিণ লেবাননে এক শিশুসহ অন্তত দুজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েলি রকেট হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। লেবানন বলেছে, ইসরায়েলে রকেট হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় হিজবুল্লাহর মিত্র হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল নতুন করে অভিযান শুরু করার পর শনিবার ইসরায়েল-লেবাননে এই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের মেতুলা শহরে লেবানন থেকে ছোড়া তিনটি রকেট ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় ইসরায়েলে কেউ হতাহত হননি।
লেবাননের সেনাবাহিনী বলেছে, কর্তৃপক্ষ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ‘‘তিনটি রকেট লঞ্চার’’ ভেঙে দিয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এই হামলার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা ১৪ মাসের সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত লেবানন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর লেবানন-ইসরায়েলের শনিবারের এই হামলা-পাল্টা হামলাকে ‘‘সবচেয়ে ভয়াবহ’’ বলছে বিবিসি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, লেবাননের সেনাবাহিনী ইসরায়েলে হামলা করা থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বিরত রাখতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হাজার হাজার অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করেছে।
সূত্র: বিবিসি।