পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট সার্চ কমিটির নাম ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বাংলাদেশ মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি “প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২” অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পন্ন করবে। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাদের কাজে সাচিবিক সহায়তা করবে।
সার্চ কমিটির কাজ
সার্চ কমিটির প্রধান কাজ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করা। পরবর্তীতে তাদের প্রস্তাবিত নাম থেকে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। আর সেই নির্বাচন কমিশনের ত্বত্তাবধানেই আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে, বর্তমান ইসির মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যাওয়ায়, রাষ্ট্রপতিকে নাম সুপারিশের ক্ষেত্রে ১০ দিনও সময় পাচ্ছেন না নতুন সার্চ কমিটি।
সার্চ কমিটি যাদের নাম সুপারিশ করতে পারবে
আইন অনুসারে, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সুনাম বিবেচনা করে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচন করবে।
এ ক্ষেত্রে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য রাজনৈতিক দল কিংবা পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকে নাম আহ্বান করতে পারবেন তারা।তবে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে-
– বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
– বয়স ন্যূনতম ৫০ বছর হতে হবে।
– যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদ বা পেশায় অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে।
তবে, সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ছয়টি অযোগ্যতাও রয়েছে-
– অনার্য কোনো রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলে কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে।
– নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে।
– ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট-১৯৭৩ বা বাংলাদেশ কোলাবরেটরস (স্পেশাল ট্রাইব্যুনালস) অর্ডার-১৯৭২ এর অধীনে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে।
– আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না, এমন পদ ব্যতীত প্রজাতন্ত্রের কর্মে লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে।
– আদালত অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা করলে।
– এবং, দেউলিয়া হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে।