উদ্ধারের কাছাকাছি ভারতে টানেলে আটকা পড়া ৪১ শ্রমিক

উদ্ধারের কাছাকাছি ভারতে টানেলে আটকা পড়া ৪১ শ্রমিক

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ভারতের উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারি টানেলে আটকা পড়া ৪১ জন শ্রমিককে আর মাত্র দুই মিটার খনন কাজ শেষ হলেই উদ্ধার করা যাবে। শ্রমিকরা প্রায় ১৭ দিন ধরে হাইওয়ের পাশের এই ভূগর্ভস্থ টানেলে আটকা পড়ে আছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন (অব.) মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন। খবর এনডিটিভির।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসনাইন বলেন, ‘আমরা অগ্রগতির কাছাকাছি রয়েছি… কিন্তু এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। সারারাত ধরে ম্যানুয়াল কাজ চালিয়েছি। আমরা আমাদের খননকারী ও আর্মি ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়তায় ৫৮ মিটার পর্যন্ত খনন করেছি। ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকরা বলেছেন যে তারা কাজ করার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন।’

এয়ার ফোর্স চিন্যালিসাউরের মেডিকেল সেন্টারের কাছে একটি চিনুক হেলিকপ্টার মেতায়েন করা হয়েছে। এটিতে করে উদ্ধারের পর শ্রমিকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। ঋষিকেশের প্রিমিয়ার অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে যাদের আরও চিকিত্সার প্রয়োজন তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারটি স্ট্যান্ডবাইতে রয়েছে। তবে এটি আজ রাতে ব্যবহার করা হবে না বলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জানিয়েছেন।

এর আগে আজ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি বলেন, ‘পাইপ বসানোর কাজ’ সম্পন্ন হয়েছে। বাবা বউখ নাগজি কোটি কোটি দেশবাসীর প্রার্থনা ও সমস্ত উদ্ধারকারী দলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ… শ্রমিকদের বের করার জন্য টানেলে পাইপ বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শীঘ্রই সকল শ্রমিক ভাইদের বের করে নিয়ে যাওয়া হবে।

কর্মকর্তারা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) ও স্ট্রেচারসহ জরুরি চিকিৎসা কর্মীরা উদ্ধার অভিযানের দায়িত্ব নিয়েছে এবং ধসে পড়া গুহায় কাজ শুরু করেছে।

গত ১২ নভেম্বর থেকে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারার এই টানেলে আটকে রয়েছেন শ্রমিকেরা। বিভিন্ন পথে চলছে উদ্ধারকাজ। একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে শুরু হয়েছে অন্য উপায়ে উদ্ধারকাজ। এভাবেই পেরিয়ে গেছে ১৬টি দিন। এক একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে হতাশ না হয়ে উদ্ধারকর্মীরা নতুন পরিকল্পনা নিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। রাতদিন এক করে তারা শ্রমিকদের যত দ্রুত সম্ভব বের করে আনতে প্রচেষ্টা চলিয়ে গেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *