উদ্বোধনের অপেক্ষায় মাদারগঞ্জের দৃষ্টিনন্দন খরকা ঝিল সেতু

উদ্বোধনের অপেক্ষায় মাদারগঞ্জের দৃষ্টিনন্দন খরকা ঝিল সেতু

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় ৫০ গ্রামের মানুষের স্বপ্নের মির্জা আজম খরকা ঝিল সেতু। মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হেডকোয়ার্টার থেকে পশ্চিম তারতাপাড়া পর্যন্ত নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সেতুটি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। অবশেষে সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের শুরুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মির্জা আজম সেতুটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভায়াডাক্টসহ ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটির নির্মাণ ব্যয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২৩ কোটি ৫১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ঠিকাদারি কাজ পায় চৌধুরী এন্টার প্রাইজ। আগামী নভেম্বর এ কাজের মেয়াদ শেষ হবে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্বোধনের আগেই দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষদের আগমন ঘটে। বিকেলে ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনায় মুখরিত ছিল এই সেতু এলাকা।

সেখানে কথা হয় সোহাগ পাঠান নামের এক যুবকের সঙ্গে। তিনি মাদারগঞ্জ উপজেলার সীমানা ঘেঁষা বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার টেংড়াকুড়া এলাকা থেকে দৃষ্টিনন্দন সেতুটি দেখতে এসেছিলেন।

জান্নাত মিতু নামের এক তরুণী জানান, তাঁর বাড়ি সেতু এলাকা থেকে ২০ কিলোমিটার দুরে। ফেসবুকের মাধ্যমে দেখে তিনি সেতুটি দেখতে এসেছেন।

বালিজুড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সর্দার আব্দুল হাই বলেন, ‘যখন এই সেতুটি ছিল না তখন আমাদের তারতাপাড়া থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বর ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে হতো নৌকা পারাপারে। এতে আমরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে থাকতাম। এখন সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় অটোরিকশা বা ভ্যানে আমরা সহজেই ও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পৌঁছে যাচ্ছি। সেতুটি নির্মাণ করায় আমাদের সংসদ সদস্য মির্জা আজম এমপিকে তারতাপাড়াবাসীর পক্ষে ধন্যবাদ জানাই।’

মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তমাল বলেন, ‘মির্জা আজম খরকা ঝিলের ওপর নির্মিত সেতুটির কাজ ৯৮ শতাংশ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে নভেম্বর মাসেই আমরা সেতুটির উদ্বোধন করতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেতুটির পাশে সংযোগ সড়কে খানাখন্দ রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সেই প্রস্তাবের অনুমোদন পাওয়া যাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *