পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র কাবাঘরের কিসওয়াহ বা কালো গিলাফ তিন মিটার ওপরে তুলে সেখানে সাদা কাপড় মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হিজরি জিলকদ মাসের ২০ তারিখ গতকাল শুক্রবার রুটিনমাফিক এ কাজটি করা হয়। খবর আল আরাবিয়্যাহ।
প্রতিবছরই মূলত ১৫ জিলকদ বা তার একদিন আগে-পরে কাবার গিলাফের অংশটি ওপরে তুলে ফেলা হয়। এ সময়ে ধীরে ধীরে হাজিদের ভিড় ও তাওয়াফ শুরু হয়। পরে ভিড় অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় গিলাফ উপরে তোলা সম্ভব হয় না। করোনার কারণে ভিড় কম হওয়ায় গত দুই বছর ২০ জিলকদ কাবার গিলাফ উপরে তোলা হয়েছিল।
মূলত হজের সময় পবিত্র কাবা শরিফে বেশকিছু পরিবর্তন আসে। কাবা গৃহের কালো গিলাফের কিছু অংশ উপরে উঠিয়ে রাখা উল্লেখিত পরিবর্তনসমূহের অন্যতম। তখন কাবার গিলাফ উঠিয়ে এর পরিবর্তে সাদা কাপড় দিয়ে কাবা শরিফের খালি অংশ ঢেকে দেওয়া হয়। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই কাবার গিলাফ সুরক্ষায় এই রীতি চলে আসছে। এখন পর্যন্ত তা অব্যাহত আছে।
জানা গেছে, কাবার এই গিলাফকে অনেকে নিজেদের মনোষ্কামনা পূরণের অন্যতম সহায়ক বস্তু হিসেবে ধারণা করে। ফলে সুযোগে পেলে কিছু কিছু লোক গিলাফের কিছু অংশ কেটে নিতেন। অনেকে গিলাফে নিজের নাম লিখে রাখতেন, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। কাবা কর্তৃপক্ষ তাই হজের ভিড়ের সময় গিলাফ সুরক্ষিত রাখতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কাবার কালো গিলাফ উঠিয়ে সেখানে সাদা কাপড় প্রতিস্থাপন করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবস্থা প্রচলিত থাকার কারণে বর্তমানে এটিই হজের পূর্বপ্রস্তুতির জানান দেয়। হজের পুরোটা সময় জুড়ে কাবার কালো গিলাপের নিচের তিন মিটার সাদা কাপড় থাকে। হজ শেষ হলে আগের মতো পুনরায় কালো গিলাফ নামিয়ে দেওয়া হয়।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ২৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছর ২০ লাখের বেশি মুসলিম হজে অংশ নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে ১২ লাখের বেশি হজযাত্রী অন্যান্য দেশ থেকে সেখানে যাবেন। এদের মধ্যে এক লাখ ২২ হাজার ২২১ বাংলাদেশি হজযাত্রীও থাকবেন। বাংলাদেশ থেকে গত ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের যাত্রা শুরু হয়েছে।