পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে এ বছরের “শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” সীমিত পরিসরে পালিত হবে। এ বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে এলে করোনাভাইরাসের টিকার সনদ সঙ্গে রাখতে হবে এবং সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে।
এছাড়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন এ বছর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবেন।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে আইন অনুষদের ডিন ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সমন্বয়কারী, সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াকে যুগ্ম সমস্বয়কারী এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে সদস্যসচিব করে অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ছাড়াও দিবসটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভায় অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজামান বলেন, “কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত বছরের ন্যায় এ বছরও জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।”
এছাড়াও, অমর একুশে উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।