পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির ১২ কেজির সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। সোমবার (১২ এপ্রিল) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল জলিল বলেন, বেসরকারি এলপিজি মজুদ ও বোতলজাতকরণ কোম্পানিগুলোর জন্য ভোক্তা পর্যায়ে মূসক ছাড়া প্রতিকেজি ৭৬ টাকা ১২ পয়সা, মূসকসহ ৮১ টাকা ৩০ পয়সা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসাবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজির বোতলের মূল্য হবে মূসকসহ ৯৭৫ টাকা।
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, সারা দেশের বিক্রেতাদের এই আদেশ অনুসরণ করতে হবে। কেউ সেটা লঙ্ঘন করলে কোন ভোক্তা যদি অভিযোগ করেন, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
তবে সিলিন্ডারের মান নিশ্চিত করার ব্যাপারে তিনি বলেন, সিলিন্ডারের মানের বিষয়ে আরো কিছু সংস্থার দায়িত্ব রয়েছে। তারপরেও নিম্নমানের হয়ে থাকলে সেসব সংশ্লিষ্ট দপ্তর ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) গণশুনানির মাধ্যমে এলপিজির দাম নির্ধারণের জন্য একটি রিট আবেদন করেছিল। এই রিটের শুনানি শেষে আদালত বিইআরসিকে গণশুনানি করে এলপিজির দাম নির্ধারণের আদেশ দেয়।
হাই কোর্টের আদেশ ও বিইআরসি আইনের ২২ (খ) ও ৩৪ ধারা অনুযায়ী গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। ৩০টি সংস্থার প্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণে দিনব্যাপী এই শুনানি হয়।
এর তিন মাসের মধ্যে মূল্য ঘোষণা করা হলো। নতুন মূল্য আইপিপির (ইমপোর্ট প্যারিটি প্রাইস) ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান। ভোক্তা পর্যাযে এলপিজির দাম নির্ধারণ এবারই প্রথম।