ক্রীড়া প্রতিবেদক : এক আসর পর ফের সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে অন্তর্ভুক্ত হলো ক্রিকেট। সাউথ এশিয়ান অলিম্পিক কাউন্সিলের সদস্যরা এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে ৮ বছর পর এসএ গেমসে ফিরছে ক্রিকেট। আগামী বছর মার্চে অনুষ্ঠেয় সাউথ এশিয়ান গেমসের ১৩তম আসরে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুরুষ ও নারী উভয় ক্রিকেটই ডিসিপ্লিনের অংশ হচ্ছে।
পুরুষদের ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবে অনূর্ধ্ব-২৩ দল। তবে প্রতি দলে তিনজন সিনিয়র ক্রিকেটার অংশ নিতে পারবেন। অন্যদিকে নারীদের ক্রিকেটে শুধু সিনিয়র ক্রিকেটারদের অংশ নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। অবশ্য কোন ফরম্যাটে খেলা হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ফরম্যাটটি হবে টি-টোয়েন্টি।
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর হচ্ছে এই সাউথ এশিয়ান গেমস বা এসএ গেমস, যাতে ৮টি দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আসর মোট ২৩টি ইভেন্ট নিয়ে আয়োজিত হয়েছিল। এরপর পরপর দুই বছর নেপালে ভূমিকম্পের কারণে পিছিয়ে যায় এসএ গেমস।
আগামী বছর ৯-১৮ মার্চে নেপালে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসে অংশ নেবে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানের ক্রীড়াবিদরা। নেপালে ডিসিপ্লিনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ২৭টিতে। তবে বাদ পড়েছে হকি। তার স্থলে যুক্ত হয়েছে ক্রিকেট।
২০১০ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছিল বাংলাদেশ দল। তাই দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বড় ধরনের সুসংবাদই বটে।