পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : শীত আসতে ঢের বাকি। এরই মধ্যে শীতের শাক-সবজিতে বাজার সয়লাব। মৌসুমী এসব শাক-সবজি খুব সহজেই শরীরের গুরুতর নানা সমস্যা মেটাতে পারে। সেই তালিকায় একবারে উপরের দিকে থাকবে বিটরুটের নাম।
স্যালাদ জাতীয় এই সবজি খেলে শরীর থাকে সুস্থ। তাই তো নিয়মিত বিটরুট খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। এটি রুট জাতীয় খাবার। অর্থাৎ মূল হলো বিট।
এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, বিটা ক্যারোটিন থেকে শুরু করে নানা উপকারী উপাদান। যা ব্লাড প্রেসার কমায়, অন্যদিকে বাড়ায় স্মৃতিশক্তি। তাই প্রতিদিন আপনি এই খাবার খেতেই পারেন।
এক্ষেত্রে বিট রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। আবার এর রস করেও পান করা সম্ভব। বিটের জুস নিয়মিত খেলে অনেক গুরুতর সমস্যার সমাধান হতে পারে। চলুন তবে আর দেরি না করে জেনে নিই বিটের চমকপ্রদ কিছু গুণ সম্পর্কে।
স্মৃতিভ্রম দূর করে
এখন বহু মানুষ স্মৃতিভ্রমের সমস্যায় ভোগেন। এই পরিস্থিতিতে বিটের জুস খেলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এই কারণে আপনার স্মৃতিভ্রমের সমস্যা দূর হয়। বরং বাড়ে স্মৃতিশক্তি। তাই আপনি এই পানীয় মুখে তুলতেই পারেন।
ওজন ঠিক রাখে
বিটের জুস খেলে শরীরে বিপাকের হার বাড়ে। ফলে দ্রুত কমে যায় ওজন। এমনকি ফ্যাট দূর হয়। আর ফ্যাট দূর হলে যে ওজন কমতে বাধ্য। তাই যারা কম পরিশ্রমে ওজন কমাতে চান, তারা ডায়েটে রাখুন বিটরুট। তাতেই ফিরবে স্বাস্থ্যের হাল।
ব্লাড প্রেশার কমে
ওজনের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের একটা গভীর সম্পর্কে। যাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাদের হাই প্রেসারও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হাই ব্লাড প্রেশার কমাতে পারে বিটের জুস। এই খাবারে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে নাইট্রেট। এই নাইট্রেট রক্তনালীকে বড় করে দেয়। ফলে সুবিধা হয় রক্তচাপ কমাতে।
স্ট্যামিনা বা কর্মশক্তি বাড়ায়
২০১২ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিটের জুস খেলে বাড়ে প্লাজমা নাইট্রেট। এই কারণে শরীরে শক্তি বা স্ট্যামিনা মেলে। তাই আপনিও খেতে পারেন এই খাবার। এক্ষেত্রে শরীরচর্চা করার শক্তিও মিলবে।
হার্ট ফেলিওর রোগীর পেশির ক্ষমতা বাড়ায়
হার্ট ফেলিওরের সমস্যা এখন অহরহ দেখা যায়। এই রোগীর পেশির জোর কমে যায়। তবে দেখা গেছে যে, হার্ট ফেলিওর রোগীর মাসলের জোর বাড়িয়ে দিতে পারে বিটের জুস। তাই এই পানীয়কে গলায় ঢালতে পারেন যেকোনো বয়সীরা।