কক্সবাজারের যে সৈকতে যেতে পারবেন না পর্যটকরা

কক্সবাজারের যে সৈকতে যেতে পারবেন না পর্যটকরা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পর্যটন নগরী কক্সবাজারে উদ্বোধন হয়েছে নতুন একটি সমুদ্রসৈকত। যেটির নাম “বোরি বিচ”। তবে এই সৈকতে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া যেতে পারবেন না স্থানীয় বাসিন্দারাও।

বোরি বিচ থাকবে শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। থাকবে প্লাস্টিকমুক্ত। শুধু জীববৈচিত্র্যের নিরাপদ আবাসস্থল হবে এই সৈকত।

শনিবার (৮ জুন) দুপুরে মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজুখালসংলগ্ন উখিয়ার সোনারপাড়ায় এই সমুদ্রসৈকতের উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।

মূলত এই সমুদ্রসৈকত বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। এজন্য মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়ার ২.৯১ কিলোমিটার সৈকত বোরিকে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এখন থেকে এই সৈকতের দেখভাল করবে বোরি। প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীরা সৈকতেই চালাবেন গবেষণা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ বলেন, “এই সমুদ্রসৈকত কেবল গবেষণার কাজে আমরা মডেল হিসেবে ব্যবহার করব। আমাদের পর্যটনের সঙ্গে কোনো কনফ্লিক্ট (দ্বন্দ্ব) নেই। এই সৈকত শুধু জীববৈচিত্র্যের নিরাপদ আবাসস্থল হবে। এখানে কেউ এসে তাদের বিরক্ত করবে না। সৈকতটি থাকবে শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং প্লাস্টিকমুক্ত। এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে বোরির।”

তিনি আরও বলেন, “সৈকতের পাশে যে মানুষরা বসবাস করেন, তারাও এতে উপকৃত হবেন। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও এখানে সম্পৃক্ত করা হবে।”

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন বলেন, “বোরি বিচ সমুদ্রবিষয়ক গবেষণার একটি মডেল হবে। এখানে কীভাবে গবেষণার কাজ চলবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সে সম্পর্কে ধারণা দিতে মহড়ার আয়োজন করতে হবে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিন অ্যাফেয়ারস ইউনিটের সচিব খুরশেদ আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে, বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান ড. আফতাব আলী, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

Related Articles