পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক। কোনো ধরনের যানবাহন চলেছে না এ মহাসড়কে। এতে বিপাকে কর্মজীবী মানুষরা। অনেকেই হেঁটে কর্মস্থলে রওনা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় কর্মজীবী মানুষের ভিড় দেখা যায়। যানবাহন না থাকায় দুর্ভোগের কথা জানায় অনেকে। তবে তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়নি।
মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ইউসুফ আজিজ। তিনি জানান, যানবাহন না থাকার কারণে হেঁটেই রওনা হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলে আমাদের আর দুর্ভোগ হয় না।’
চাকরিজীবী আসলাম শিকদার বলেন, ‘যানবাহন রাস্তায় চলবে না জেনেই বাসা থেকে বের হয়েছি। এখন দেখি একটা রিকশাও চলছে না। কষ্ট করে কর্মস্থলে যেতে হবে।’
সকাল থেকেই মাতুয়াইল, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের অবরোধে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ গেছে। মহাসড়কের সাইনবোর্ড, মৌচাক, চিটাগং রোডসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কের রায়েরবাগ অংশে ব্যারিকেড দেয়ায় ঢাকা থেকে কোনো গাড়ি বের হতে পারছে না। ফলে অনেক গাড়ি আটকা পড়েছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি দূরপাল্লার বাস, সিএনজিচালিত-অটোরিকশাও রয়েছে। অপরপাশে মাতুয়াইল মেডিক্যাল এলাকায় ব্যারিকেডের কারণে কোনো যানবাহন ঢাকায় ঢুকতে পারছে না।
সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। মহাসড়কে টায়ার ও কাঠে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে তারা। এ সময় তাদের হাতে লাঠিসোঁটাও দেখা যায়।
এদিকে সকাল সোয়া ৮টার দিকে পুলিশের একটি গাড়ি এলে বিক্ষোভকারীরা সেটি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ সেখান থেকে সরে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।