করোনায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে সংক্রমণ

করোনায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে সংক্রমণ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বেড়েছে। এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ১২৯ জন। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৫৬০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৩৩৯ জন।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৮ হাজার ১৭ জন। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয় ২ লাখ ৪৩ হাজার ১১১ জনের। আর সুস্থ হয়ে ওঠেন ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭২৮ জন।

সোমবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত মোট ১৭ কোটি ৯২ লাখ ৫২ হাজার ৪১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৮ লাখ ৮২ হাজার ৮ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ কোটি ৩৮ লাখ ৫ হাজার ৩২৫ জন।

বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র এখনও সবার ওপরে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ১ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ১৭ হাজার ১৬৬ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৭ লাখ ১১ হাজার ৩১৫ জন।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৯ লাখ ৩৪ হাজার ৩৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৬৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫২৯ জন।

তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৯ লাখ ২৭ হাজার ৯২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মাঝে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ১ হাজার ৯১৮ জনের।

তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, পঞ্চম স্থানে তুরস্ক, ষষ্ঠ স্থানে রাশিয়া, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম আর্জেন্টিনা, নবম ইতালি এবং দশম স্থানে রয়েছে কলম্বিয়া।

সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩১তম। দেশে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৩ হাজার ৫৪৮ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৫ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ইউরোপ-আমেরিকায় পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলেও তা বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিপরীতে শুরুর দিকে ভালো থাকা ভারত ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর চিত্র ক্রমান্বয়ে খারাপ হচ্ছে। তবে গত প্রায় দুই সপ্তাহে ভারতে পরিস্থিতির ধারাবাহিক উন্নতি হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *