করোনা আতঙ্ক; দিল্লির সব প্রাইমারি স্কুল বন্ধ ঘোষণা

করোনা আতঙ্ক; দিল্লির সব প্রাইমারি স্কুল বন্ধ ঘোষণা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হওয়ায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে নয়াদিল্লি সরকার।

দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বলেছেন, দিল্লির সব সরকারি, বেসরকারি, দাতা সংস্থা পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। টুইটে দেয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য বিস্তার রোধে পূর্ব-সতর্কতা হিসেবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এনডিটিভি বলছে, ভারতে বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) পর্যন্ত ৩০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে কর্তৃপক্ষ। করোনায় আক্রান্তদের ১৬ জনই ইতালীয় পর্যটক। ইতালির এ পর্যটকদের ১৪ জনকে নয়াদিল্লিতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। গত মাসে ইতালি থেকে ২৩ জনের একটি পর্যটক দল রাজস্থানে আসে।

বাকি পর্যটকদের একজনের শরীরে মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। একই সঙ্গে পরীক্ষায় ওই পর্যটকের স্ত্রীও করোনা সংক্রমিত বলে নিশ্চিত করেছে দিল্লি।

এদিকে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেলজিয়াম সফর বাতিল করেছেন। দেশটির রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য ইন্দো-ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলনে যোগ দেয়ার কথা ছিল মোদির।

অন্যদিকে বুধবার (০৪ মার্চ) এক টুইট বার্তায় এ বছরের হলি উৎসবে যোগ দেবেন না বলে জানান নরেন্দ্র মোদি। টুইটে তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা গণজমায়েত কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি চলতি বছরের হলি উৎসবে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

চীনের বাইরে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মহামারির শঙ্কায় রয়েছে প্রতিবেশী ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক টুইটে দেশের মানুষকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনিও হোলি উৎসবে যোগ দেবেন না বলে টুইটে জানিয়েছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার ৩০৩ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এছাড়া এ ভাইরাস বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৩৩৬ জন। চীনের বাইরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ইরান এবং ইউরোপের দেশ ইতালিতে। এ দুই দেশেই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০৭ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *