করোনা সংক্রমণ : সচেতন হলেই বাঁচবে দেশের মানুষ

করোনা সংক্রমণ : সচেতন হলেই বাঁচবে দেশের মানুষ

করোনা সংক্রমণ : সচেতন হলেই বাঁচবে দেশের মানুষ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : অগ্রহায়ণ মাস শুরু হয়ে গেলেও শীতের প্রকোপ পড়েনি রাজধানীতে। করোনার ছোবলে বিশ্বব্যাপী যেভাবে নুয়ে পড়েছিলো-শীতের আগে আগে সতর্কতা জারি হয়েছে বিশ্বজুড়েই। বাংলাদেশেই খুলেনি স্কুল-কলেজ-মাদরাসা। তবে বিশ্বের অনেক জায়গায় স্কুল খুলে আবার বন্ধ ঘোষণাও করেছে। শীতের সময় সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে-সরকার ও বিশেষজ্ঞ পর্যায় থেকে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল অনেক আগেই। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঘরের বাইরে এবং সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে সরকার। ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ ঘোষণা করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা সব সময়ই জোর দিচ্ছেন মাস্ক পরার ওপর। রাজধানী ঢাকা ও বাইরের বিভিন্ন এলাকায় চলছে অভিযান, হচ্ছে শাস্তি। তার পরও এখনো বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহারে সতর্ক হচ্ছে না। অনেকেই মাস্ক না পরেই চলাফেরা করছে। চলছে হাট-বাজারে অবাধে কেনাবেচা, এমনকি গণপরিবহন ও কর্মস্থলে অনেক ক্ষেত্রেই সচেতন মানুষও মাস্ক ব্যবহার করছে না। সব মিলিয়ে মাস্ক পরা নিয়ে চলছে রীতিমতো বিশৃঙ্খল অবস্থা। শুধু তা-ই নয়, অনেকের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারেও এক ধরনের অনীহা দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত বিপজ্জনক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা, বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা, শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে চলা মানেই নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনা। লক্ষ করা যাচ্ছে, দেশে গণপরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।

ইউরোপে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কয়েকটি দেশের সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগেই বাংলাদেশে দ্বিতীয় দফা করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করে বর্তমান অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতের পর দেশেও হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।

সেই সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ৫৬ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী দেশে সংক্রমণে মৃত্যুর আট মাসের মাথায় এসে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মোট শনাক্ত দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৪ জনে। এর মধ্যে মারা গেছে ছয় হাজার ২৫৪ জন। মাসওয়ারি গড় করলে মৃত্যু হয় ৭৮২ জনের আর দিনে ২৬ জনের। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এক মাসে দেশে মারা গেছে ৬০৪ জন। আর এই এক মাসে শনাক্ত হয়েছে ৪৮ হাজার ১৪৫ জন।

সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শীতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *