পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: এক অনাড়ম্বরপূর্ণ সমারোহে আজ বিকেলে শেষ হয়েছে গতকাল শুক্রবার বাদ জুম’আ শুরু হওয়া আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এর ঢাকা ইজতিমা। বিকেল চারটায় তিনি উপস্থিত সহস্র মুসল্লী, আলেম উলামা, ও ত্বলাবাকে নিয়ে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। মুনাজাতের পূর্বে তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন।
বয়ানে তিনি বলেন, ‘কথা বলার চেয়ে চুপ থাকার মাঝে বেশি ফায়দা নিহিত রয়েছে। ওয়াজ নসিহতের চাইতে বেশী আসর ও প্রভাব সৃষ্টি হয় হয় কোনো আল্লাহওয়ালার কাছে গিয়ে চুপ করে বসে থাকলে’।
বর্তমান সময়ের ওয়াজ মাহফিলগুলোকে ‘প্রতিযোগিতা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকাল ওয়াজ মাহফিল ও বয়ানের মঞ্চ যেনো প্রতিযোগিতার ময়দান। এগুলোর দ্বারা অন্তর পবিত্র হয় না। অথচ এর দ্বারা মূল উদ্দেশ্য ছিলো, আল্লাহ যে আমাদের অন্তরকে পাক সাফ করে দেন।
জিকিরের গুরুত্ব ও আধ্যাত্মিক কার্যকারিতা বুঝাতে আল্লামা মাসঊদ বলেন–
‘জিকিরের মধ্যে আল্লাহ বিশেষ শক্তি রেখেছেন, জিকিরকারী যা চায় আল্লাহ তাকে তাই দিয়ে দেন। সে যদি আঙ্গুরফল খেতে চায় আল্লাহ তাকে তাই দিয়ে দিবেন। হযরত মরিয়ম আ. জিকির করতেন আর আসমান থেকে তার জন্য ফলমূল আসত। হযরত জাকারিয়া জিজ্ঞেস করেন এগুলো কোথায় পেলে? তিনি বললেন আল্লাহ পাঠিয়েছেন। কাজেই যদি কেউ জিকিরকে শক্তিশালী করতে পারে তাহলে আখেরাতে সে তো পাবেই, দুনিয়াতেও আল্লাহ তাকে দান করবেন।
জিকিরের শক্তিমত্তা বুঝাতে তিনি আরও বলেন, আমাদের কলবকে শক্তিশালি বানাতে হবে, আর কলব অন্য কিছুতে শক্তিশালী হয়না, হয় কেবল জিকিরের মাধ্যমে। অন্যান্য ইবাদাতে সওয়াব পাওয়া যায়, ফরয আদায় হয়, কিন্তু কলব শক্তিশালী হয় কেবল জিকরুল্লাহর মাধ্যমে। আর পাশাপাশি মুরাকাবা করতেও হবে। কারণ, মুরকাবার মধ্যে বান্দা আল্লাহকে পাশে পায়।
ইসলাহ প্রত্যাশী উপস্থিত সালিকদের কর্মসূচি প্রদান করে তিনি বলেন—
আমাদের কর্মসূচি হলো বাড়িতে গিয়ে নিজ ঘরে, নিজ পরিবারে নিয়মিত জিকিরের আমল চালু করা। এরপর মহল্লার মসজিদ কিংবা কোনো একটা জায়াগায় সপ্তাহে একদিন জিকিরের মজলিস করা। আর আমাদের ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া ইংরেজি মাসের শেষ সপ্তাহে মাসিক শবগুজারিতে অংশগ্রহণ করা। আর বছরে দুটি ইজতিমা– ঢাকার ইজতিমা ও তাড়াইল ইজতিমায় শরিক হওয়া।
সবশেষে তিনি আসন্ন ২৬, ২৭ ও ২৮ জানুয়ারী’২৪ তাড়াইল ইজতিমায় উপস্থিত সবাইকে আমন্ত্রণ জানান।