কানাডায় বন্দুকধারীর গুলিতে ১৬ জন নিহত

কানাডায় বন্দুকধারীর গুলিতে ১৬ জন নিহত

কানাডায় বন্দুকধারীর গুলিতে ১৬ জন নিহত

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম :: কানাডায় কোনো ফাঁসির আদেশ হয় না। যত জনই মারুক নিশ্চিত তার মৃত্যু হবে না অপরাধী জানে। এবার সেই খেসারত দিতে হলো কানাডাকে। এক বন্দুকধারীর গুলিতে একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে কানাডার নোভা স্কটিয়া প্রদেশের গ্রাম্য অঞ্চলে।

শনিবার রাতে দেশটির নোভা স্কটিয়া প্রদেশের গ্রাম্য অঞ্চল পোর্টেপিকে হামলা চালায় ওই বন্দুকধারী। এ ঘটনায় বন্দুকধারীরও নিহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, একটি গাড়িতে করে পুলিশের পোশাক পরে হামলা চালায় বন্দুকধারী। গাড়িটি দেখতেও পুলিশের গাড়িসদৃশ ছিল। পুলিশ আশঙ্কা করছে, এ ঘটনায় আরও অনেকে হতাহত হয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ১২ ঘণ্টা ধরে ত্রাস সৃষ্টির পর নিহত হন হামলাকারী। এর আগে গাড়িতে চেপে একাধিক জায়গায় হামলা চালান তিনি।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই হামলায় বন্দুকধারী বাদেই অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। তবে ১২ ঘণ্টাব্যাপী এই হামলায় ঠিক কতজন হতাহত হয়েছে তা নিশ্চিত নন নোভা স্কটিয়া পুলিশ।

এ ঘটনাকে ‘ভয়ানক পরিস্থিতি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নোভা স্কটিয়া প্রদেশের প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রী) স্টিফেন ম্যাকনেইল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি আমাদের প্রদেশের ইতিহাসে অন্যতম একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন সংঘাতের ঘটনা।’

হামলাকারীর নাম গ্যাব্রিয়েল ওর্টম্যান (৫১) বলে শনাক্ত করে নোভা স্কটিয়া পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, যদিও তিনি আরসিএমপির (রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ) ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন, তিনি এর কোনো সদস্য নন।

রোববার এক টুইট বার্তায় নোভা স্কটিয়া পুলিশ জানায়, গাড়িটির পেছনের দিকে যাত্রী বসার জানালার ওপরদিকে লেখা ছিল ২৮বি১১। অথচ আরসিএমপির গাড়ির নম্বরপ্লেটে হ্যাশ চিহ্ন রয়েছে, যা হামলাকারীর গাড়িতে ছিল না। ২৮বি১১ নম্বরের গাড়ি দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে ৯১১ নম্বরে কল করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

কানাডিয়ান পুলিশ আরও জানায়, হামলাকারী পরে ওই গাড়িটি পরিবর্তন করে হালকা সিলভারের চেভরোলেট এসইউভি গাড়িতে চড়েন। তবে হামলাকারী কীভাবে নিহত তার বিস্তারিত জানায়নি নোভা স্কটিয়া পুলিশ।

কানাডাতে গণহারে এভাবে গুলি করার ঘটনা একেবারেই বিরল। এছাড়া দেশটির বন্দুক আইন প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকেও অধিক কড়া।

এর আগে ১৯৮৯ সালে কুইবেকে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুলি করে ১৪ জন নারীকে হত্যা করে এক বন্দুকধারী। ২০১৯ সালে আরেক বন্দুকধারীর হামলায় তিনজন নিহত হন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *