পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে কাশ্মীরজুড়ে। ইতিমধ্যে শ্রীনগর ও জম্মুতে জারি করা হয়েছে কারফিউ। এরই মধ্যে লোক কল্যাণ মার্গে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা।
কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, এই বৈঠক যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জানিয়েছে, একই দিনে নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটিরও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মোদি ছাড়াও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা বৈঠকে থাকছেন।
কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিধান্ত নেয়া হয়ে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে গৃহবন্দি করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতিকে। এছাড়া কংগ্রেস নেতা উসমান মজিদ এবং সিপিএম বিধায়ক এমওয়াই তারিগামিকেও রাতে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন, এক অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শ্রীনগর শহরকে। শহর ছাড়া গ্রামীণ এলাকাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জায়গায় জায়গায় পুলিশ চৌকি তৈরি করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই ভারত শাসিত কাশ্মীরে বাড়তি ২৮ হাজার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী পাঠানোর সিদ্ধান্ত, হিন্দুদের পবিত্র অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে ওই রাজ্য থেকে সব তীর্থযাত্রী আর পর্যটকদের রাজ্য ছেড়ে দ্রুত চলে যাওয়ার পরামর্শ – এসবের পরে সেখানে ব্যাপক গুঞ্জন চলছে।
ভারত শাসিত কাশ্মীরের প্রশাসন আর ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, অমরনাথ যাত্রাপথ থেকে পাকিস্তানে তৈরি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যও বলছে যে সন্ত্রাসী হামলা চলতে পারে অমরনাথ যাত্রার ওপরে।
এরপরেই নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তীর্থযাত্রী আর পর্যটকদের রাজ্য ছাড়ার পরামর্শ দেয় প্রশাসন।