কিশোরীর ফিরে আসা: তিন আসামির জামিন না মঞ্জুর
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নারায়ণগঞ্জে আলোচিত কিশোরী জিসা মনিকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’ এবং নাটকীয়ভাবে তার ফিরে আসার মামলায় তিন আসামি আব্দুল্লাহ, রকিব, খলিলের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত ও একই সাথে কথিত স্বামী ইকবালের রিমান্ড না মঞ্জুর করেছে আদালত। তিন আসামির ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তি জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন নথিভুক্ত করেছে আদালত।
এদিকে ঘটনা মিথ্যা দাবি করে জামিন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশের শাস্তি দাবি করেছেন আসামিদের স্বজনরা। জামিন ও রিমান্ডের শুনানির নির্ধারিত তারিখ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাওসার আলমের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালত কিশোরীর কথিত স্বামী ইকবালের রিমান্ড ও জামিন না মঞ্জুর করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন। একইসাথে ১৬৪ ধারায় দেয়া আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করে নথিভুক্ত করার জন্য আদেশ দিয়েছে। কিশোরী জীবিত ফিরে আসা মামলার আসামিদের মুক্তির দাবিতে আদালত চত্ত্বরে মানববন্ধন করেছে পরিবার ও স্বজনরা। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. রোকন উদ্দিন বলেন, আসামি আব্দুল্লাহ ও রাকিবের জামিন চেয়েছিলাম, আদালত না মঞ্জুর করেছে। আমরা জজকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করবো। এদিকে ঘটনা ‘মিথ্যা প্রমাণ হওয়ার পরও’ ছেলের জামিন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশের শাস্তি দাবি করেন আব্দুল্লাহর পরিবার।
মনববন্ধনে বক্তব্যকালে আসামি আব্দুল্লার বাবা আমজাদ বলেন, মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার সাজানো ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পরও আমরা ছেলেকে ফিরে পেলাম না। আমরা এ সাজানো ঘটনার জন্য দারোগা শামীম এবং ওসির বিচার চাই। মানববন্ধনে নৌকার মাঝি খলিল জেল হাজতে থাকায় তার পরিবার সন্তানদের নিয়ে অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে উল্লেখ করেন তার স্ত্রী শারমিন বেগম।
গত ৪ জুলাই স্কুলছাত্রী কিশোরী নিখোঁজ হলে এক মাস পর ৬ আগস্ট তার বাবা অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেফতারের পর কিশোরিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে লাশ ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে ৯ আগস্ট আদালতে জবানবন্দি দেয়। ২৩ আগস্ট ওই কিশোরি জীবিত উদ্ধার হলে পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেওয়া আসামিদের জবানবন্দি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।