কুষ্টিয়ায় জনতার তোপের মুখে পাউবো কর্মকর্তারা

কুষ্টিয়ায় জনতার তোপের মুখে পাউবো কর্মকর্তারা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের পদ্মার তীব্র ভাঙ্গন ও ভেড়ামারা উপজেলার অন্তর্গত কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ভাঙ্গন পরিদর্শনের সময় এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন ওই কর্মকর্তারা। নদী গর্ভে ক্রমাগত কৃষি জমি বিলীন হওয়ায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পাউবো কর্মকর্তাদের প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখেন। কৃষি জমি ও ঘর-বাড়ি রক্ষায় ভাঙ্গনরোধে জরুরীভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী করেন পদ্মা তীরবর্তী স্থানীয় জনতা।

জানা যায়, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবনগর, মির্জানগর ও তালবাড়িয়া এবং ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের টিকটিকিপাড়া ও মুন্সিপাড়া নামক এলাকায় পদ্মার ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে যান পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। পদ্মা নদীর পানির প্রবল স্রোতে ও ঘূর্ণাবতের কারণে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিগত বছরে অনন্ত: তিন হাজার বিঘা কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভয়াল ভাঙ্গনে পদ্মা নদীর তীর সংলগ্ন জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ২টি সুউচ্চ টাওয়ার ইতিমধ্যে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এছাড়া কুষ্টিয়া-দাশুড়িয়া জাতীয় মহাসড়ক ও বাংলাদেশের বৃহৎ জিকে সেচ প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মারত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। কিন্তু ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ এখনো গৃহীত না হওয়ায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী পাউবো কর্মকর্তাদের উপর বেপরোয়া চাড়াও হন। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ফরিদপুরস্থ পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনে কথা বলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ন্যায্যমূল্য আহসানকে বিষয়টি অবহিত করেন।

পদ্মার আগ্রাসী ভাঙ্গনের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ন্যায্যমূল্য আহসান ঝুঁকিপূর্ণ কৃষি জমি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ,কবরস্থান, স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসা ও জাতীয় মহাসড়কসহ সরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ, কুষ্টিয়ার তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল হামিদ, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসডিই) অপূর্ব কুমার দাস, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ স্থানীয় জনগণ ও মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles