কৃষি ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন প্রধানমন্ত্রী

কৃষি ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন প্রধানমন্ত্রী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে কৃষি উৎপাদনব্যবস্থা শুধু সচল রাখা নয়, আরও জোরদার করতে হবে। সামনের দিনগুলোয় যাতে কোনো প্রকার খাদ্য–সংকট না হয়, সে জন্য একখণ্ড জমিও ফেলে রাখা চলবে না। এ জন্য কৃষি-সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করার জন্য কৃষি ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বীজ, সার, কীটনাশকসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণের ঘাটতি যাতে না হয় এবং সময়মতো কৃষকের হাতে পৌঁছে, সে ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। কৃষকেরা যাতে উৎপাদিত বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য পান সে জন্য চলতি মৌসুমে গত বছরের চেয়ে ২ লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান ক্রয় করা হবে। এ জন্য অতিরিক্ত ৮৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এ তহবিল হতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষীদের কৃষি, মৎস্য, ডেইরি এবং পোল্ট্রি খাতে ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ প্রদান করা হবে। কৃষি ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

এ মুহূর্তে কোনো খাদ্যসংকট নেই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে আমাদের বাঁচতে হবে। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। যখন যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার তা নেয়া হচ্ছে। এ মুহূর্তে আমাদের কোনো খাদ্য সঙ্কট নেই। সরকারি গুদামে যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুত রয়েছে, তেমনি রয়েছে গৃহস্থদের ঘরে ঘরে। আল্লাহর রহমতে গত মৌসুমে আমাদের রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে বোরো ধানেরও ভালো ফলন হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। খাদ্য ও কৃষি পণ্য সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থা অটুট রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সদাশয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও দরিদ্র জনগণের সহায়তায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণে এগিয়ে এসেছেন। তবে, এসব ত্রাণসামগ্রী ও সহায়তা বিচ্ছিন্নভাবে না বিলিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে শৃঙ্খলার সঙ্গে বিতরণ করা প্রয়োজন। তা না হলে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যাবে। বিত্তবানদের এই সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

শিক্ষা কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকা অবস্থায় সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *