পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সেলুলার নেটওয়ার্কের সর্বশেষ ও সবচেয়ে উন্নত সংস্করণ ফাইভজি। যদিও আমাদের দেশে এখনও ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু হয়নি কিন্তু ফাইভজি নেটওয়ার্ক সাপোর্টেড ফোন কিন্তু ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে ফোন কেনার সময় ফাইভজি সাপোর্ট দেখে নেয়। যদিও দেশে কবে নাগাদ ফাইভজি চালু হবে তা জানা নেই অনেকেরই।
বিগত দুই বছরে ইউএস ক্যারিয়ারে ফাইভজি যুক্ত করা হয়েছে এবং প্রায় ৯০ শতাংশ মার্কিনি এখন ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায়। যেহেতু দেশে এখনও এটি চালু হয়নি তাই ফাইভজি বলতে আসলে কি বোঝায় তাও অনেকের জানা নেই।
ফোরজি/এলটিই নেটওয়ার্ক মন্দ কিছু নয়। তবে ফাইভজি ফোরজির তুলনায় বড় স্পেকট্রামে কাজ করে। ফোরজি থেকে ফাইভজি অবশ্যই দ্রুতগতির। কিন্তু এরমানে এই নয়, এই নেটওয়ার্কের সমস্যা নেই। ফাইভজি অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। ফাইভজি নেটওয়ার্ক তাত্ত্বিক ভাবে ১০ জিবিপিএস স্পিড পর্যন্ত ইন্টারনেট সুবিধা দেয়। এমন কিছু এখনও অকল্পনীয়।
সেলুলার টাওয়ারের যন্ত্র এই স্পিড পেলেও আপনার ফোন এত দ্রুতগতিসম্পন্ন হবে তা কিন্তু নয়। কারণ আজকালের ফোনের নেটওয়ার্ক ব্যান্ড এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ এত ভালো তা নয়। আপনার বাড়িতে ওয়াই ফাই ৬ রাউটার লাগালে যেমন নেটওয়ার্কের কারণে বাড়তি সুবিধা মিলে না। ফাইভজি নেটওয়ার্ক থাকলেও হার্ডওয়ারের কারণে এই সুবিধা পুরোপুরি আপনি পাবেন না। তবে ফাইভজি ওয়ারলেস টেকনোলজির স্পিডের বিষয়টি বাস্তব জীবনে কেমন?
টেকনোলজি ওয়েবসাইট ডিজিটাল ট্রেন্ডস এর মতে ফাইভজিতে সর্বোচ্চ ১০ জিবিপিএস গতি পাওয়ার কথা থাকলেও গড়ে ১৫০ এমবিপিএস পাওয়া গেছে আমেরিকার সবচেয়ে ভালো অবকাঠামো থেকে। এক্ষেত্রে হার্ডওয়ারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তব জীবনে ফোরজি মোটেও খারাপ নয় এখনও।
সমস্যা হলো, অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ক্যারিয়ারে থ্রিজি এইচএসপিএ প্লাস ক্যারিয়ার ব্যবহার করে এবং মোবাইলকে ফোরজি বলে চালিয়ে দেয়। ফলে ফোনে অনেকেই ফোরজির সুবিধা পান না। এমন সমস্যা যে ফাইভজির ক্ষেত্রে হবে না তা বলা যায় না। আর ফাইভজির অবকাঠামোর ব্যবহার এবং হার্ডওয়ার সমন্বয়ের বিষয়টি জটিল। সে হিসেবে ফোরজি এখনও ভালো উপায়।
সূত্র: ডিজিটাল ট্রেন্ডস