পাথেয় টোয়েন্টি ফোর ডটকম (নয়াদিল্লী) : কেরালায় ভয়াবহ বন্যা অাঘাত হানার পর থেকেই সেখানকার বন্যা দুর্গতদের পাশে ছিল ভারতের অন্যতম সামাজিক সংগঠন জমিয়তে উলামা হিন্দ। প্রথম দিন থেকিই তাদের নানারকম সাহায্য করে আসছে অন্যতম এ সামাজিক সংগঠন।
সম্প্রতি জমিয়তের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা সাইয়্যেদ মাহমুদ মাদানীর নেতৃত্বে একটা প্রতিনিধিদল কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পানিরাই বিজনের সাথে তেরান্দারামে তার অফিসে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন, জমিয়তের সেক্রেটারি মাওলানা হাকিমুদ্দীন কাসেমী। মাওলানা ইবরাহীম, মাওলানা সুফিয়ান কাসেমী, মাওলানা যাকারিয়া, মাওলানা শিব্বীর, এডভোকেট শিহাবুদ্দীন, মাওলানা রাশেদ ও মাওলানা আব্দুননাফে।
জমিয়তের প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সামনে একটি প্রস্তাবনা পেশ করেন, যেখানে বিশেষভাবে বন্যা দুর্গতদের বাসস্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেন তারা এসময় একটু ভালোভাবে থাকতে পারে এবং তাদের জীবন বাঁচাতে পারে। এছাড়াও যাদের ঘর নেই বা সামান্য বৃষ্টি আসলেই যাদের বসবাসে সমস্যা হচ্ছে তাদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবনায়।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের অনুদানের কথা বলা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই এ অনুদান পাননি।
প্রতিনিধিদলের সূত্রে জানা গেছে, জমিয়ত এ পর্যন্ত পাঁচ কোটি টাকার বেশী কাজ করেছে এবং এখনও করছে। তবে এখন শেষ পর্যায়ে যেটি করা হচ্ছে তা হল বন্যার্তদের ঘর নির্মাণ করে দেয়া। ইতোমধ্যেই অবশ্য কয়েকশ ঘর নির্মাণ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে সূত্র্র থেকে।
জমিয়তের এক মুখপাত্র বলেন, জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদ মাদানী প্রথমদিন থেকেই বন্যা দুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের নিয়মিত সাহায্য করে অাসছেন। বন্যার্তদের প্রয়োজন পূরণে এখনও তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, রিলিফের সবকিছু বন্যার্তদের কাছে ঠিকঠাক পৌঁছানোর জন্য তিনটি টিম গঠন করেছে জমিয়তে উলামা হিন্দ। তারা নিয়মমতো সব কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।
এখন সরকারের পক্ষ থেকে কিছু সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের কাজকে আরো এগিয়ে নিতে পারবো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জমিয়তের সেক্রেটারী মাওলানা হাকীমুদ্দীন কাসেমী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং এ জন্য জমিয়তকে স্বাগতও জানিয়েছেন তিনি। খুব দ্রুতই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জমিয়তকে এ কাজে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুবাদ ও সম্পাদনা : কাউসার মাহমুদ
তথ্যসূত্র : রোজনামা খবরীন, দিল্লী
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির