ক্রীড়া ডেস্ক : দারুণ এক সেঞ্চুরি করে পরশু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশকে জিততে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন মুশফিকুর রহিম। বিপর্যয়ের মুখে অবিচল থেকে ১৫০ বলে ১৪৪ রানের ইনিংসটির মাধ্যমে এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান স্থান করে নিয়েছেন এশিয়া কাপের ইতিহাসে। তাঁর এই ইনিংসটি এশিয়া কাপের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহে ভারতের বিরাট কোহলি আর পাকিস্তানের ইউনিস খানের পরপরই মুশফিকের স্থান।
২০১২ এশিয়া কাপে ঢাকার মিরপুরে স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৩ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। এখনো পর্যন্ত এটিই এশিয়া কাপের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। শ্রীলঙ্কায় ২০০৪ সালের এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে ইউনিসের ১৪৪ রানের ইনিংসটিই স্থান পাচ্ছে এর পর। দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকের ইনিংসটি ১৪৪ রানের হলেও বল খেলার হিসাবে তিনি পিছিয়ে পড়েছেন ইউনিসের চেয়ে। মুশফিক ১৫০ বল খেললেও ইউনিস খেলেছেন ১২২ বল।
এশিয়া কাপের চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংসটি শোয়েব মালিকের। পঞ্চমটি আবারও কোহলির। শোয়েব ২০০৪ এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ১৪৩ রান করেছিলেন। কোহলির ইনিংসটি ১৩৬ রানের, ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
এদিকে অনেকেই মুশফিকের ১৪৪ রানের ইনিংসটিকে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ইনিংস বলছেন। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই অন্যতম সেরা ইনিংস। টুইটারে একই কথা বলেছেন ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফও। তাঁর মতে, ‘দারুণ এক জয় পেল বাংলাদেশ। লঙ্কানদের রীতিমতো উড়িয়েই দিয়েছে তারা। মুশফিকুর রহিমের ইনিংসটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ইনিংস।’