পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রসুল পাঠিয়েছেন– মানুষকে সত্য, সুন্দর ও সঠিক পথ দেখানোর জন্য। তাদের দিকনির্দেশনার জন্য দিয়েছেন কিতাব। এর মধ্যে সবশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব হচ্ছে কোরআন– এর সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ আয়াত হচ্ছে আয়াতুল কুরসি।
এটি পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত, যা অবতীর্ণ হয়েছে মদিনায়। এটি কোরআনের একটি প্রসিদ্ধ আয়াত।
জান্নাতে যাওয়াটাই প্রতিটি মুমিনের একমাত্র চাওয়া। এর নেয়ামতসমূহ মানুষ কল্পনা করেও শেষ করতে পারে না। মহান আল্লাহ তার মুমিন বান্দাদের জন্য জান্নাত প্রস্তুত রেখেছেন। তাতে যাওয়ার জন্য মুমিন বান্দাদের মহান আল্লাহর আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী চলতে হবে। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না। (শুআবুল ঈমান: ২৩৯৫; নাসায়ি: ৯৪৪৮)
যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন, তিনি মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। সবার উচিত আয়াতুল কুরসি মুখস্থ করা। যারা পারবেন না, তারা বাংলা উচ্চারণ দেখে মুখস্থ করে বিজ্ঞ কারও কাছে বিশুদ্ধ উচ্চারণ শিখে নেবেন।
আয়াতুল কুরসি (আরবি)
اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ اَلۡحَیُّ الۡقَیُّوۡمُ ۬ۚ لَا تَاۡخُذُهٗ سِنَۃٌ وَّ لَا نَوۡمٌ ؕ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشۡفَعُ عِنۡدَهٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِهٖ ؕ یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ مَا خَلۡفَهُمۡ ۚ وَ لَا یُحِیۡطُوۡنَ بِشَیۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ کُرۡسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ ۚ وَ لَا یَـُٔوۡدُهٗ حِفۡظُهُمَا ۚ وَ هُوَ الۡعَلِیُّ الۡعَظِیۡمُ
আয়তুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ
আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হু-ওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা-খুযুহু সিনাতু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিসসামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্ব। মান যাল্লাযি ইয়াশ ফাউ ইন্দাহু ইল্লা বিইজনিহ। ইয়ালামু মাবাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইয়্যিম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শাআ ওয়াসিআ কুরসিইয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল আলিইয়্যুল আজিম। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৫৫)
আয়তুল কুরসির অর্থ
আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, বিশ্বচরাচরের ধারক। তাকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, তারই। কে সেই ব্যক্তি যে তার অনুমতি ছাড়া তার নিকট সুপারিশ করে? তিনি লোকদের সব প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অবস্থা জানেন। পক্ষান্তরে মানুষ তার জ্ঞানের কোনোকিছুই আয়ত্ত করতে সক্ষম নয়। তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছে করেন সেটুকু ছাড়া। তার কুরসি আকাশ ও পৃথিবী পরিবেষ্টন করে আছে এবং এ দুয়ের রক্ষণাবেক্ষণ তাকে ক্লান্ত করে না, তিনি উচ্চ মর্যাদাশীল, মহান। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৫৫)